মার্কিন সেনাদের ওপর ইরান সমর্থিত যোদ্ধারা হামলা করেছে। এ বিষয়ে সিরিয়ার আসাদ সরকার বিরোধীরা জানিয়েছে, ‘পূর্ব সিরিয়ায় একটি তেল স্থাপনায় থাকা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর রকেট ছুড়েছে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধারা।’
দেশটিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে যুক্ত যোদ্ধাদের ওপর মার্কিন সৈন্যদের বিমান হামলার পর এ আক্রমণ হয়। মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় গণমাধ্যগুলো জানিয়েছে, ‘আমেরিকানদের বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই রকেট হামলা হয়।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন বলেছে, ‘গত সপ্তাহের শুরুতে এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান সমর্থিত যোদ্ধারা। এরপর তারা প্রতিশোধ হিসেবে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে যুক্ত যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা করে।’
সিরিয়ার যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ বলেছে, ‘ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের ছয়টি রকেট পূর্বাঞ্চলীয় দেইর-আজ-জোর প্রদেশের আল-ওমর তেলক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে।’
ব্রিটেনভিত্তিক এ যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরও বলেছে, ‘ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে যুক্ত যোদ্ধাদের হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।’ শুক্রবার এর আগে মার্কিন বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত সাত ইরাকি যোদ্ধা আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতি আমেরিকার সমর্থনের প্রতিবাদে চলতি মাসে ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা হয়। বৃহস্পতিবার পেন্টাগন জানায়, তাদের ঘাঁটিগুলো ১৬ টি হামলার শিকার হয়েছে। যদিও এসব হামলায় ক্ষয়-ক্ষতি খুব কম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তারা মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনো সংঘর্ষে জড়াতে চান না। তিনি এমন সময় এ দাবি করলেন, যখন নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে ৯০০ সেনা মোতায়েন করার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা।
সূত্র : আল-জাজিরা