চট্টগ্রাম-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন পত্র নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্যানেল মেয়র ও ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সবুর লিটন।
কিন্তু তিনি সেই মনোনয়ন পত্র জমা দেননি। এতে ওই আসনের ভোটারদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফলে কেন তিনি মনোনয়ন পত্র জমা না দিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া থেকে সরে দাড়িয়েছেন তা জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়নপত্র দাখিল করিনি। কারণ বঙ্গবন্ধু আদর্শের অনুসারী হিসেবে আমি কখনও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরে যাইনি।
এবারের সংসদ নির্বাচনেও আমি নৌকা প্রতীকের বাইরে যাবো না। তাই আমার মনোনয়নপত্র আমি জমা দেয়নি। আমি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে পাশে থাকতে চাই। বিষয়টি আমার নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সহজে জানাতে আমি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
আবদুস সবুর লিটন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি চট্টগ্রাম-১০ আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম। সবসময় মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে দলীয় আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হইনি। প্রধানমন্ত্রীর সম্মান রক্ষার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নৌকার বিরুদ্ধে কোনদিনই প্রার্থী হতে পারি না। সবাই তো আর মনোনয়ন পায় না, এগুলো নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আমি নৌকা প্রতীকের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। যেহেতু নৌকা পাইনি, সেহেতু নির্বাচন করব না। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। নৌকার প্রার্থীর জন্য কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে চট্টগ্রামের চিত্র। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু ইকোনোমিক জোনসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামীতে সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমি চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মী। তিনি যেমন গণমানুষের নেতা ছিলেন, তার সেই আদর্শ ধারণ করেই চলছি। আমিও নেতার পদাঙ্খ অনুসরণ করে গণমানুষের নেতা হতে চাই। সে হিসেবে আমি কাজ করছি। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগীতা চাই। চট্টগ্রামের মানুষের সহযোগীতা চাই। আপনারা অতীতে যেমন আমার পাশে ছিলেন, সামনের দিনগুলোতেও আমার পাশে থাকবেন। আমিও আপামর জনসাধারণের পাশে থাকব।
ঈশান/খম/সুমি