মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যের ওয়ারেন শহরে বাড়ির সামনে আবার পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি এক কিশোর নিহত হয়েছেন। নিহত কিশোরের নাম হোসেন আল রাজী (১৯)। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিরানীবাজারের পৌর এলাকায়।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে শহরের রায়ান সড়কের এলিভেন মাইলের গারবর স্ট্রিটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, আল রাজী পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় পুলিশ।
আল রাজীর বাবা মোহাম্মদ আতিক হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করায় জরুরি সেবা ৯১১-এ কল দেয়া হয়। তবে পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলুক এটি আমরা চাইনি।
জানা যায়, নিজের ঘরে হাতে অস্ত্র নিয়ে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিল সে। তার উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ঘাবড়ে যায় পরিবারটি। ভয় পেয়ে তার বাবা-মা ছোট বোনকে নিয়ে গ্যারেজে গাড়ির ভেতর আশ্রয় নেন। অতিষ্ঠ ১৬ বছরের ছোট ভাইয়ের ফোনকল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ যুবকটিকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু এতে সে কর্ণপাত করেনি। সে অস্ত্র হাতে নিয়ে ঘরের বাইরে আসার চেষ্টা করে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে এসে যুবকটির হাতে অস্ত্র দেখা যায়। সেটি ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক এতে কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওয়ারেন পুলিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ছ্যারলেস রোশটন।
জানা গেছে, আতিক হোসেনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার সুপাতলা। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে আল রাজি বড়। সাত বছর আগে ফ্যামিলি ভিসায় তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। থাকতেন ওয়ারেন শহরের রায়ান সড়কের এলিভেন মাইলের গারবর স্ট্রিটে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্কে ১৯ বছরের যুবক উইন রোজারিও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। উভয় ঘটনা তদন্তাধীন আছে।