চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে এস এন কর্পোরেশন নামে একটি শিপ ইয়ার্ডের ইঞ্জিন রুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৩ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। সবশেষ তথ্যমতে বিকেল ৪টার দিকেও সংস্থাটির কুমিরা স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আহত শ্রমিকরা হলেন- আহাম্মদ উল্লাহ (৩৮), মোহাম্মদ আল-আমিন (২৩), মোহাম্মদ বরকত (২৩), হাবিল আহমেদ (৩৬), মোহাম্মদ নিয়ামুল হক (৩০), আনোয়ার হোসেন (৫০), আবুল কাশেম (৩৯), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৪৮), মোহাম্মদ খাইরুল (৩৫), আলামিন কারিমুল (২১), মোহাম্মদ সাগর (২০), মোহাম্মদ রফিক (৩০) ও মোহাম্মদ সাইফুল (৩০)।
তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, সীতাকুন্ডে শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ১৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেকে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
সীতাকুন্ড থানার ওসি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সীতাকুন্ড কুমিরা এলাকার এস এন করপোরেশন পিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর তাতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মামুন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। তবে এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনের তীব্রতায় ভিতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
এস এন কর্পোরেশনের ম্যানেজার (এডমিন) ওমর ফারুক বলেন, একটি জাহাজ কাটার প্রায় শেষ পর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ একটি পা¤েপর বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১৩ জন শ্রমিক আহত হন। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মেনেই জাহাজ কাটার কাজ করি। কিন্তু এই ঘটনা স¤পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।