পণ্য সংকটের কারণে চট্টগ্রামে সরবরাহ সমস্যায় পড়েছে টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ)। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এদিকে পণ্য না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টের গ্রহিতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সাদ্দাম হোসাইন দৈনিক ঈশানকে বলেন, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সাশ্রয়ী দামে প্রথম পর্বের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে টিসিবি।
এ পর্বে ছিল এক কেজি ছোলা, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল ও দুই কেজি তেল। কার্ডধারীরা ডিলারদের কাছ থেকে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা কেজি এবং প্রতি কেজি ছোলা ৫৫ টাকা দরে কিনতে পারছেন।
তবে এখন পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘাটতি পূরণ না হলে এখন থেকে আর পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগতে পারে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।
সূত্র জানায়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে পণ্য বিক্রি শুরু করে টিসিবি। এরপর নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ৪০-৪২টি ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে আসছিল টিসিবি। তবে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নগরের মাত্র সাতটি পয়েন্টে সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করছে টিসিবি।
এদিকে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নগরের টাইগারপাস এলাকায় পণ্য বিক্রি করে টিসিবি। বিক্রি করা হয় চাল, ডাল, তেল ও ছোলা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য সংগ্রহ করছিলেন মানুষ। সেখানে ক্রেতা মো. শফিউল আলম বলেন, ‘ডাল, তেল, ছোলার মান ঠিক আছে। কিন্তু চালটা ভালো না। চালে পোকা পেয়েছি। তবুও কিনতে হচ্ছে। এখানে যে দামে পাব, বাইরে আরও বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হবে।
অন্যদিকে নগরীর ফরিদের পাড়া পয়েন্ট এলাকার কার্ডধারী ছানোয়ারা বেগম বলেন, আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টিসিবির পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও কেউ পণ্য নিয়ে আসেনি। ফলে দুশ্চিন্তায় আছি। আমাদের তো এত টাকা নেই যে, বেশি দামে বাজার থেকে কিনে খাব।
আরেক কার্ডধারী মশিউর রহমান বলেন, সামনে রমজান। এই সময় কম মূল্যের টিসিবির পণ্য পেলাম না। শুনেছি টিসিবিতে নাকি মাল (ভোগ্যপণ্য) নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। একই কথা বলেছেন নগরীর চকবাজার এলাকার কার্ডধারী তসলিমা আক্তার, সাহাব উদ্দিন, বাকলিয়া এলাকার নাছির উদ্দিনসহ অনেকে।