২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সিকান্দার রাজা, জশ লিটলরা খেলছেন নিয়মিত। খেলছেন জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও। সেদিকে থেকে তুচ্ছ মোস্তাফিজ ও লিটন দাসরা। আইপিএলে ম্যাচ পাওয়া বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কাছে অমাবশ্যার চাঁদের মতো।
এবারই প্রথমবার আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছেন রাজা ও লিটল। রাজা খেলছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এবং গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলছেন লিটল। প্রথমবার সুযোগ পেয়েই তা দু’হাত ভরে কাজে লাগাচ্ছেন এই দুই ক্রিকেটার।
নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে পাচ্ছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করছেন রাজা। ৬ ম্যাচে ২৫.৬০ গড় ও ১৪০.৬৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১২৮ রান। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ৫৭ রান ও ১ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
আজ চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে শেষ বলে ৩ রান নিয়ে পাঞ্জাবকে এনে দিয়েছেন রুদ্ধশ্বাস এক জয়। বোলিংয়ে ১০.৫৫ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে বোলার লিটলও উইকেট পাচ্ছেন নিয়মিত। ৮.৫০ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫ উইকেট। গতকাল ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
অথচ এবার আইপিএলে খেলার কথা ছিল তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের। যা বাংলাদেশিদের মধ্যে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে ধরে রেখেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই সাকিব আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব। আর লিটন ১ ম্যাচে ৪ রান করার পর কলকাতার জার্সিতে খেলার সুযোগই পাননি।
শুক্রবার দেশে ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মোস্তাফিজ দুই ম্যাচ খেলে আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। ৭ ওভার বোলিং করে ১১.২৯ ইকোনমিতে ১ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।
জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররাই নন, এবারের আইপিএল মাতাচ্ছেন আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররাও। পাঁচ আফগান ক্রিকেটার খেলছেন এবারের আইপিএলে। গুজরাটের হয়ে খেলছেন রশিদ খান, নুর আহমাদ; রহমানুল্লাহ গুরবাজ খেলছেন কলকাতার জার্সিতে। নাভিন উল হক লক্ষ্ণৌর হয়ে আর ফজলহক ফারুকি খেলছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। এমনকি গুজরাটকে নেতৃত্বও দিয়েছেন রশিদ।