কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এরপর প্রথম ১৩জন বন্দীকে বিকেল ৪ টায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
দোহায় একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারির কাছ থেকে আরও জানা গেছে, “যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদের ফেরত পাঠানোর সময় একসাথে রাখা হবে।
প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। চার দিনের মধ্যে মোট ৫০ জনকে মুক্ত করা হবে। এর আগে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে – তারা সবাই নারী ও শিশু। যুদ্ধবিরতি চার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে বলে তারা জানিয়েছেন।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়ার পর প্রতি ১০জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে একটি অতিরিক্ত দিন যুদ্ধবিরতি থাকবে বা যুদ্ধবিরতি এক দিন বাড়ানো হবে ।
জিম্মিদের স্বজনরা বিবিসিকে জানিয়েছে যে তারা এমন কোনো আংশিক চুক্তি চায় না – যেখানে শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে এই ধারাটি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম ৫০ জনের মধ্যে যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক – যাদের দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে যে তারা হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ জন ইসরায়েলি নাগরিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। এ জন্য চার দিন যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।
এই সংঘাতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে আসছে কাতার। এর আগেও হামাসের হাতে জিম্মি চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র কাতারের মধ্যস্থতায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, কাতারি কর্মকর্তারা বুধবার সকালে ইসরায়েলের কাছে চুক্তির প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সরকার যে চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে তাতে বলা হয়েছে যে কয়েক দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা হামাসের সঙ্গে এই জিম্মি চুক্তি অনুমোদনের পক্ষে ভোট দেয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয় “ইসরায়েল সরকার সকল জিম্মিকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “
“সরকার এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের রূপরেখা অনুমোদন করেছে, সে অনুযায়ী নারী ও শিশুসহ ৫০ জন জিম্মিকে চার দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে, ওই সময়ে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।”
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি