বুধবার- ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

রাশিয়ার আশঙ্কা

নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের কান্ড ঘটাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

blank
print news

নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো কাণ্ড ঘটতে পারে।   এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী কয়েক সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞাসহ কয়েকটি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে ওয়াশিংটন।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তার আগে (আগামী কয়েক সপ্তাহে) বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ আরও কয়েকটি চাপ প্রয়োগ করতে পারে ওয়াশিংটন। বাইডেন প্রশাসনের টার্গেট হতে পারে বাংলাদেশের প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে আসনের ৬২ গুণ ভর্তির আবেদন!

পাশাপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার দায়ে অনেক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র এসব অভিযোগ আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাখারোভা।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, সড়কে যান চলাচল বন্ধ, বাস পোড়ানো এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এসব ঘটনার সঙ্গে ঢাকায় পশ্চিমা একটি কূটনৈতিক মিশনের সন্দেহজনক কার্যকলাপের সংযোগ দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক, যা নিয়ে গত ২২ নভেম্বরের ব্রিফিংয়ে আমরা কথা বলেছি।

আরও পড়ুন :  বৈদেশিক মুদ্রাসহ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রী আটক

যুক্তরাষ্ট্র ‘আরব বসন্ত’-এর আদলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করলে তা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হবে মন্তব্য করে জাখারোভা বলেন, ‘শাসন ক্ষমতার প্রশ্নে বহিরাগত যে কোন শক্তির ‘ষড়যন্ত্র’ মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশের জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্বাস করে রাশিয়া।’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে আসছে মস্কো। নভেম্বরের ব্রিফিংয়ে জাখারোভা সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন :  সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

সেদিন তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অক্টোবর মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।’ যদিও ওয়াশিটংনের তরফে সরাসরি মস্কোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

ঈশান/মখ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page