“মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু রোববার টানা ৭ ঘণ্টা ভারী অস্ত্রের শব্দে প্রকম্পিত হয় তুমব্রু সীমান্ত এলাকা। দুপুরে মিয়ানমার থেকে এক রাউন্ড গুলি তুমব্রু এলাকার বশিরের ঘর ও আরেকটি গুলি আজিজের দোকানের টিনের চালে এসে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের লোকজন নিরাপদে সটকে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।”
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ চলাকালীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও ২ রাউন্ড গুলি বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সীমান্ত জনপদের মানুষ।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তুমব্রু এলাকার ৩৫/৩৬ সীমান্ত পিলার এলাকায় হাজার হাজার রাউন্ড গুলি ও শতশত মর্টারশেল বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ ভেসে আসছে। এ সময় ভয়াবহ শব্দে কেঁপে উঠে তুমব্রু সীমান্ত। আমরা স্থানীয়দের নিরাপদে রাখার জন্য বিজিবির সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে বিদ্রোহী আরকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু রোববার টানা ৭ ঘণ্টা ভারী অস্ত্রের শব্দে প্রকম্পিত হয় তুমব্রু সীমান্ত এলাকা। দুপুরে মিয়ানমার থেকে এক রাউন্ড গুলি তুমব্রু এলাকার বশিরের ঘর ও আরেকটি গুলি আজিজের দোকানের টিনের চালে এসে পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের লোকজন নিরাপদে সটকে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
তুমব্রু ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আলম জানান, সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা গোলাগুলি এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিশাল শব্দ শোনা যায়। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভারী অস্ত্রের শব্দ মিয়ানমারের সামান্য ভিতর থেকে আসে। ওই সময় সীমান্তের কাছাকাছি থাকা স্থানীয় চাকমা পাড়ার বাসিন্দারা ভয়ে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।
তুমব্রু বাজার এলাকার ব্যবসায়ী সরোয়ার বলেন, ‘মিয়ানমারে চলা সংঘর্ষে এটি এ যাবতকালের সবোর্চ্চ ভারী অস্ত্রের শব্দ হয়। ওই সময় ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বদ্ধ করে নিরাপদে চলে যায়।’
ঘুমধুমের স্থানীয় সংবাদ কর্মী মাহমুদুল হাসান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো নয়, সবাই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।
ঈশান/সুম/মউ