চট্টগ্রামে অবৈধ অটোরিকশা আটক নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছেন ট্রাফিক বন্দর বিভাগের সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান। নিজের সহকর্মী ও সম পদমর্যাদার সার্জেন্ট ইফতি খানকে প্রকাশে জনসম্মখে লাঞ্ছিত করতেও দ্বিধাবোধ করেননি তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ট্রাফিক সার্জেন্ট ইফতি খান বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর ডবলমুরিং থানার কদমতলী ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট ইফতি খানকে গাড়ি আটকের ঘটনায় লাঞ্ছিত করেন সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর কদমতলী এলাকায় অবৈধ গ্রাম অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের সার্জেন্ট ইফতি খান। এসময় তিনি বেশ কয়েকটি অবৈধ অটোরিকশা আটক করেন। পরে বন্দর বিভাগের সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান এসে সার্জেন্ট ইফতির কাছে গাড়ি আটকের কৈফিয়ত চান। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সার্জেন্ট জাহিদুর তেড়ে গিয়ে সার্জেন্টি ইফতি খানকে লাঞ্ছিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্জেন্ট জাহিদুর রহমানের নামে চট্টগ্রাম মহানগরে একাধিক অবৈধ গ্রাম অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিলে তিনি উল্টো তাকেই লাঞ্ছিত করে হুমকি-ধমকি দেন। এর আগেও তিনি এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট ইফতি খান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নিয়মিত অবৈধ গ্রাম অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সময় সার্জেন্ট জাহিদুরের একটি গাড়ি আটক করি। এতে ওনি ক্ষুব্ধ হয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় আমাকে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি জোনাল ডিসি স্যারকে জানিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট জাহিদুর রহমান বলেন, ইফতি আমার ফোন না ধরে গাড়ি আটক করায় এমনটা করেছি। এটা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। সহকর্মীর সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই করবো, তাতে আপনার কি?
এ বিষয়ে বন্দর ট্রাফিক (প্রশাসন) রফিকুর ইললাম বলেন, সার্জেন্ট ইফতি খান আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন। অবৈধ গাড়ি আটক করা অপরাধ নয়। কিন্তু গাড়ি আটক করায় সার্জেন্ট জাহিদুর ইফতিকে লাঞ্ছিত করে অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈশান/খম/সুম