বুধবার- ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড

অধিকাংশই উৎপাদন হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে

print news

দেশে চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর এসব লবণের অধিকাংশই উৎপাদন হয়েছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকুলীয় উপজেলাসমূহে । শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

২৫ এপ্রিলের হিসাব অনুসারে, চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বিগত বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। এই মৌসুমে মোট লবণ চাষকৃত জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর।

গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বেড়েছে তিন হাজার ১৩৩ একর। এবার লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় লবণ চাষির সংখ্যা বেড়েছে দুই হাজার ২৩৬ জন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে আসনের ৬২ গুণ ভর্তির আবেদন!

লবণ আমদানি না করে দেশে তা উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে এক মাস আগেই চাষিদের মাঠে নামানো হয়। গত লবণ মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হওয়ায় চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী (১ বছর), মধ্যমেয়াদী (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদী (৫ বছরের উর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন :  আইনজীবী না থাকায় চিন্ময়ের জামিন শুনানি পিছিয়ে ২ জানুয়ারি

সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদের অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ  প্রদান, লবণ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, প্রকৃত লবণ চাষিদের নিকট বরাদ্দকরণ, লবণ চাষের জমির লিজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা  প্রদান, জরিপ পরিচালনা, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুদ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের সরকারি স্কুলে আসনের ৬২ গুণ ভর্তির আবেদন!

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় লবণনীতি, ২০২২ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সকল উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দেওয়া হয়। -বাসস

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page