“ছোট থেকে দেখে আসছি প্রতিবার ভোটের সময় সে আনন্দে থাকে। এখনও মনে আছে প্রথমবার যখন ভোট দিয়েছিল, তখন তার কী আনন্দ! বুড়ো আঙ্গুলে কালো কালির দাগ দেখিয়ে মাতিয়ে রেখেছিল এলাকা। এবারও ভোট দিয়ে মহাখুশি সদ্দিাম। যাকে সামনে পাচ্ছে তাকে বুড়ো আঙ্গুলের কালো কালির দাগ দেখিয়ে উল্লাস করছে সাদ্দাম -প্রতিবেশীর ভাষ্য।”
ছোট থেকেই পা দুটি অসাড় (নিস্তেজ) তার। বলতে পারে না কথাও। তবুও দুই হাতে ভর দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাথরঘাটা সিটি করপোরেশন কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন বাক প্রতিবন্ধি তুষার ইসলাম সাদ্দাম।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ভোট দিয়ে বেরিয়ে বুড়ো আঙ্গুলের কালো কালির দাগ দেখান সাদ্দাম। এ সময় তাকে মহাখুশি দেখা যায়। ভোট এ পর্যন্ত কয়বার দিয়েছেন জানতে চাইলে সাদ্দাম-অ অ শব্দ করে আঙ্গুল দেখিয়ে বুঝান- এবারসহ তিনবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন তিনি।
নগরীর পাথরঘাটা এলাকার ব্রিকফিল্ড কলোনির ৬০ বছরের বৃদ্ধ আব্দুল মনসুর তার প্রসঙ্গে বলেন, ছোট থেকে দেখে আসছি প্রতিবার ভোটের সময় সে আনন্দে থাকে। এখনও মনে আছে প্রথমবার যখন ভোট দিয়েছিল, তখন তার কী আনন্দ! বুড়ো আঙ্গুলে কালো কালির দাগ দেখিয়ে মাতিয়ে রেখেছিল এলাকা। এবারও ভোট দিয়ে মহাখুশি সদ্দিাম। যাকে সামনে পাচ্ছে তাকে বুড়ো আঙ্গুলের কালো কালির দাগ দেখিয়ে উল্লাস করছে সাদ্দাম।
সাদ্দামের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে কথা বলতে পারে না। ছোট থেকে তার পা অসাড় (নিস্তেজ)। তারপরও প্রতিবার ভোট দিতে যায়। আজও সকাল ৬টা দিকে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিল। আমাকে না জানিয়েই এনআইডি কার্ড নিয়ে সে বের হয়ে গেছে।
সাদ্দামের মা আয়েশা বেগম গৃহকর্মী। তার বাবা নুরুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক। তাদের বাসা পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড কলোনিতে। স্থানীয় লোকজনের কাছে সাদ্দাম খুবই আদরের বলে জানান তার বাবা নুরুল ইসলাম।
ঈশান/খম/সুপ