
চট্টগ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী বাড়লেও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা। বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে মলিক্যুলার ল্যাব না থাকায় ক্যান্সার শনাক্ত হচ্ছে দেরিতে। পাশাপাশি বাড়ছে রোগীদের ভোগান্তি ও চিকিৎসা ব্যয়। রোগ নির্ণয়ে ছুটতে হচ্ছে ঢাকা বা দেশের বাইরে।
ভুক্তভোগীরা জানান, জটিল রোগের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে ছুটাছুটি করতে করতেই রোগীর অবস্থাও সঙ্গীন হয়ে পড়ে। এতে একদিকে ভোগান্তি বাড়ে, অন্যদিকে খরচ বাড়ে কয়েকগুণ। তবে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষায়িত ক্যান্সার ইউনিটের কাজ চলছে।
চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আসগর চৌধুরী বলেন, চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ৭০ জনের বেশি রোগী আসছেন। রোগ শনাক্তে অত্যাধুনিক মলিক্যুলার ল্যাব না থাকায়, ক্যান্সার শনাক্তে নানা জায়গায় ঘুরতে হয় রোগীদের।
তিনি বলেন, মলিক্যুলার ল্যাবের মাধ্যমে যে টার্গেট থেরাপি লাগবে অথবা রেডিও থেরাপি বা জিন থেরাপি, ক্ষেত্রে আমরা এটা করতে পারছি না। আরও ইমপরটেন্ট লিকুইড বায়োপসি। এটাতে আমরা আরও দেখতে পারি যে জিনেটিক্যালি এটা ক্যান্সার হবে কিনা।
চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আগের তুলনায় দেশে ক্যান্সার চিকিৎসার পরিসীমা বাড়লেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষায়িত ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে, সামনে এ রোগের নিরাময় আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদী। তবে মানুষের সচেতনা বাড়লেই এ রোগ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকা সম্ভব।