মঙ্গলবার- ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে তিন বছরে সড়কে ঝরেছে ৫৫৪ প্রাণ

চট্টগ্রামে তিন বছরে সড়কে ঝরেছে ৫৫৪ প্রাণ
print news

ট্টগ্রামে গত তিন বছরে ৩৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল বন্ধ করতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। এর জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিআরটিএর যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ বাস্তবায়ন দরকার।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রান্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস দিবস উপলক্ষ্যে গোলটেবিল সংলাপ ও চট্টগ্রাম শহর রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের সহায়তায় চসিকের কনফারেন্স রুমে ওই সংলাপের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসফিকুজ্জামান আক্তার। বক্তব্য দেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রধান ইলিয়াস কাঞ্চন।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম।

উপস্থিত ছিলেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুব, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কীর্তিমান চাকমা, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) চট্টগ্রামের উপপরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা, বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের এনফোর্সমেন্ট কো–অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিন, ট্রান্সপোর্ট কো–অর্ডিনেটর সুতপা তাসনিম, কমিউনিকেশন অফিসার মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীর সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি সংস্থার নেতৃত্বে সব প্রতিষ্ঠানের কাজ করা জরুরি। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে পুলিশ, বিআরটিএ, সিডিএ সবাই একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে সহজেই সড়কে শৃঙ্খলা আনা যাবে।’

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসফিকুজ্জামান আক্তার বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে চালকদের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে হলে ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ডিজিটাল করার বিকল্প নেই। পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিং ও আন্ডারপাস তৈরি করার জন্য চসিক মেয়রকে অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ এর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেল্যান্স কো–অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ।

ঈশান/মখ/মসু

আরও পড়ুন

No more posts to show