বৃহস্পতিবার- ২৭ মার্চ, ২০২৫

চমেক হাসপাতালে সিন্ডিকেটের এম্বুলেন্স নৈরাজ্যের অভিযোগ

print news

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে লাশ ও রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এম্বুলেন্স নৈরাজ্যের অভিযোগে তুলেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর পাঁচলাইশ থানা।

২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে রোগী ও মরদেহ জিম্মি করে এম্বুলেন্স মালিক সমিতি নামে একটি সিন্ডিকেটের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা লিখিত বক্তব্যে জানান, চমেক হাসপাতালে দৈনন্দিন হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা করা হয়। অনেক রোগীদের রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ডাইগনষ্টিক সেন্টারে বিভিন্ন হাপাতালে আনা নেয়ার জন্য এম্বুলেন্স অবশ্যই প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে অনেক রোগী মৃত্যুবরণ করার পর মরদেহ বাড়ীতে দাফনের জন্যেও পরিবহন করতে এ এম্বুলেন্সের প্রয়োজন হয়।

এম্বুলেন্সের মালিক বা চালক হিসেবে এটি সেবা হিসাবে আমরা মনে করি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার বিপরীত। সিন্ডিকেট করে পাঁচগুন ভাড়া বেশী নেওয়া হয়। যেমন করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী কানুনগো পাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও সিতাকুন্ডসহ এই সমস্ত এলাকার থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া জিম্মি করে আদায় করেছে। এ ব্যাপারে তৎকালীন এমপি মঈনউদ্দিন খান বাদল ও জননেতা মোসলেম উদ্দিন দুইজনেই যথাযথ প্রশাসনের নিকট বারংবার আপত্তি অভিযোগ জানানোর পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কিন্তু  তারা আজ দুনিয়াতে নেই।

অথচ মানুষ মানুষের জন্য। বিপদে আপদে মানুষ একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসে। কিন্তু তা না করে ঐ সন্ত্রাসী এম্বুলেন্স মালিক-চালক সিন্ডেকেট সম্পূর্ণ এর হিতকর বিপরীত। তাদের সিন্ডিকেটের বাহিরে কোন এম্বুলেন্স মেডিকেলের ভিতরে ঢুকতে পারে না। মরদেহ মেডিকেল বারান্দায় পড়ে থাকে। রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আনা নেওয়াও করতে পারে না। লাশ ও রোগীর আত্মীয় স্বজন তাদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকে।

আমাদের বক্তব্য হল, লাশ এবং রোগীর আত্মীয় স্বজন যেকোন এম্বুলেন্সের মাধ্যমে লাশ এবং রোগী আনা-নেওয়া করতে পারবে। এই ব্যাপারে প্রশাসন কর্তৃক একটি কমিটির মাধ্যমে ভাড়া নির্ধারণ করলে কারো উপর জুলুম ও অন্যায় হবে না। লাশ ও রোগীর আত্মীয় স্বজন যে কোন এম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারবে। তবে কারো আপত্তি থাকতে পারে না অথবা মেডিকেল এবং পুলিশ প্রশাসন এম্বুলেন্স মালিক কর্তৃক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে একটি ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করলে কারো আপত্তি থাকিবেনা বলে মনে করি।

পাঁচলাইশ থানার শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, মেডিকেল হাসপাতালে শ্রমজীবি মানুষের রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারেও সুবিধা অসুবিধা সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসার জন্য জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর কার্যনির্বাহী কমিটি আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি বাধ্য হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীর সেবক হিসাবে ও শ্রমজীবি মানুষ এর কাজ করতে হয় বিধায় রোগী ও লাশের আত্মীয় স্বজন যাতে তাদের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট থেকে রোগী ও সেবাগ্রহীতারা মুক্তি পাই এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আপত্তি ও প্রতিবাদ করলে আমাদের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় এ সিন্ডিকেট মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু তা নয়, তারা এ ধরনের অনেক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে শ্রমিক লীগের কর্মীদের হয়রানি করছে। যাতে তাদের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষ ও রোগীদের জিম্মি করে অত্যাচার করলে কেহ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসতে না পারে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ও নৈরাজ্য থামাতে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজুল হক, উত্তম কুমার চৌধুরী, ইয়াছির আরাফাত জুয়েল, খোরশেদ প্রমুখ।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page