দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটিতে এলো বড়সড় পরিবর্তন। অবসান হলো কাজী সালাউদ্দিন যুগের। প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল। এর আগে দুই মেয়াদে বাফুফের সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন অভিজ্ঞ এই সংগঠক।
সভাপতি পদে দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক আ ফ ম মিজানুর রহমান চৌধুরীকে হারিয়েছেন তাবিথ আউয়াল। জিতেছেন বিপুল ভোটে। মিজানুর রহমান পেয়েছেন মাত্র পাঁচ ভোট। সেখানে তাবিথ ভোট পেয়েছেন ১২৩টি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি অভিজান হোটেলে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভার পর নির্বাচনে জয়ী হন তাবিথ। দুপুট দুইটায় শুরু হয় ভোটাভুটি। শেষ হয় সন্ধ্যায়। ভোটাভুটির আধ ঘণ্টা পরই ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে জয়ী ঘোষণা করা হয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব তাবিথকে।
ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। বাফুফের মোট ভোটার ১৩৩ জন। ভোট দিতে আসেননি কেবল পাঁচজন। ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন। মোট ১৯টি পদে ভোট হয়েছে। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বসুন্ধরা কিংস চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
গত সেপ্টেম্বরে সভাপতি পদে আর লড়াই না করার ঘোষণা দেন সালাউদ্দিন। তাতেই নিশ্চিত হয়, দেড় দশকেরও বেশি সময় পর বাফুফের সর্বোচ্চ পদে আসছে পরিবর্তন। নতুন সভাপতি তাবিথ এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে বাফুফের সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালে হেরে যান তিনি।
সেই লড়াইটা অবশ্য হাড্ডাহাড্ডি হয়েছিল। সহ-সভাপতি পদে মহিউদ্দিন মহির সঙ্গে প্রথম লড়াই সমতায় থাকে ৬৫-৬৫ ভোটে। পরে আবার নির্বাচন হয়। এবার ৬৭-৬৩ ভোটে হারেন তাবিথ। তবে সহ-সভাপতি পদে হারলেও চার বছর পর সভাপতি নির্বাচনে ঠিকই বাজিমাত করলেন তাবিথ।