
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। তিন দশকের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা। এখন আর ঢাকাই সিনেমার পর্দায় দেখা যায় না তাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়াতেই থাকেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকেই ইন্টারনেটে নিজের ছবি-ভিডিও ভক্তদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত শেয়ার করেন শাবনূর। এর মধ্যে প্রেম নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা। তিনি বলেন, দেশের বাইরের তারকাদের মধ্যে টম ক্রুজ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের। পছন্দের তালিকায় আছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তারা যে আমার ক্রাশ, এটা আমার পরিবারের সবাই জানে। এমনকি আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলেও এটা জানে।’
শাবনূর বলেন, ‘তরুণী থাকতেই মধুমিতায় টম ক্রুজের ‘মিশন ইম্পসিবল’ দেখেছিলাম। এই সিনেমা দেখেই টম ক্রুজের প্রেমে পড়ে যাই। বুড়ো হয়ে গেলেও একবার টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আমার ছেলেও বলছে, সে বড় হলে আমাকে আমেরিকা নিয়ে যাবে; টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে। আমিও অধীর আগ্রহে আছি টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করার। সামনা সামনি টম ক্রুজের দেখা পেলে একগুচ্ছ গোলাপ দেব।’
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা করে শাবনূর বলেন, ‘টাইটানিক দেখার পর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও আমার ক্রাশ। মনে মনে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নায়িকা হতে না চাইলেও ভালো লাগত আরকি! চকলেট বয় টাইপ ছিল তো! এই টাইপের হিরোরা বরাবরই আমার পছন্দ।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে ‘চকলেট বয়’ টাইপের নায়কদের বেছে নেওয়ার কথা জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘আমি সবসময় চকলেট বয়দের সঙ্গে কাজ করছি। খুঁজে খুঁজে চকলেট বয় হিরোদের সঙ্গে কাজ করছি। আমার নায়কদের তালিকা দেখলেও তা বোঝা যাবে। যেমন: আমার বেশির ভাগ সিনেমার নায়ক সালমান শাহ, ফেরদৌস, রিয়াজ, শাকিব— সবাই চকলেট বয়। আমার সব হিরোই চকলেট বয় টাইপের।’
১৯৯৩ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রয়াত এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে নাম লিখান শাবনূর। দীর্ঘ ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।