শুক্রবার- ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ, নিহত কোলের সন্তান

আগুন আতঙ্কে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ, নিহত কোলের সন্তান

ক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগার পর আতঙ্কে লাফ দিয়েছেন এক দ¤পতি। এতে তারা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আট মাসের শিশু হামদানের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপৃল) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর স্টেশনের রশিদাপাড়া এলাকায় কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাংগুর ঘোনা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৩০) এবং তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২০)। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন :  বৈদেশিক সরঞ্জাম কেনাকাটায় ইন্ডিয়ান কোম্পানির দাপট

বুধবার (১৬ এপৃল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লোহাগাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার দিদার হোসেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা প্রবাল এক্সপ্রেস রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে আধুনগর স্টেশন এলাকায় পৌছালে ‘থ’ বগিতে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় আতঙ্কে আব্দুর রাজ্জাক ও লিজা আক্তার দ¤পতি ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে আহত হন। তবে লিজার কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুসন্তানটি মারা গেছে। তারা সাতকানিয়া স্টেশন থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি লোহাগাড়া স্টেশনে পৌঁছার আগেই রেলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই বগির আর কেউ হতাহত হননি।

আরও পড়ুন :  বৈদেশিক সরঞ্জাম কেনাকাটায় ইন্ডিয়ান কোম্পানির দাপট

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিমুল দত্ত বলেন, কয়েকজন যুবক আট মাস বয়সী শিশুসন্তান ও তার বাবা-মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে শিশুটি ঘটনাস্থালে মারা গিয়েছিল। তার বাবা-মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লোহাগাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহেদ হোসেন বলেন, ট্রেন থেকে আতঙ্কে লাফ দিয়ে এক শিশু নিহত ও দু‘জন গুরুতর আহত হন। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। আহত দু‘জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন :  বৈদেশিক সরঞ্জাম কেনাকাটায় ইন্ডিয়ান কোম্পানির দাপট

ঈশান/মখ/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page