শুক্রবার- ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) আবহে সাজলো চট্টগ্রাম

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) আবহে সাজলো চট্টগ্রাম

বিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুছ আগামী ১২ই রবিউল আউয়াল শনিবার। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় এ জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। সে উপলক্ষে ধর্মীয় আবহে সাজলো বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।

মহানগরের প্রত্যেকটি মোড়ে ব্যানার-পোস্টার ও কলেমা খচিত প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুনে সাজিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। চলছে প্রচারণা। মাইকে শোনা যাচ্ছে, রাসুলুল্লাহ (স.) আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন হামদ, নাত ও গজল সংগীত।

আওলাদে রাসুল, রাহনুমায়ে শরিয়ত ও ত্বরিকত, পীরে বাঙ্গাল, হজরতুল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)র নেতৃত্বে এ জুলুছে লক্ষ লক্ষ আশেকে-রাসুলগণ অংশগ্রহণ করবে। প্রতিবছরের তুলনায় এবার আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।

আরও পড়ুন :  মিলির অপেক্ষায় শাকিব, চলছে রেজিস্ট্রেশন

ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মোহাম্মদ মনজুরুল আলম ম›জু বলেন, জশনে জুলুছের সব ধরণের প্রস্তুতি স¤পন্ন করা হয়েছে। এবার প্রায় ৭০ লাখ মানুষ হবে বলে আশা করছি। ভক্তরা নাতে রাসুল (স.) বাজিয়ে জুলুছে অংশ নেন। চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে ছাড়াও দেশে বিভিন্নস্থান থেকে ভক্তরা এসে জুলুছে অংশ নেন। এশিয়ার বৃহত্তর এ জশনে জুলুছ সফলভাবে স¤পন্ন হবে আশা করছি।

তিনি বলেন, আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যেগে প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে। নগরীর ষোলশহর জামেয়া মাদরাসার আলমগীর খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট দিয়ে জুলুছ জিইসির পেনিনসুলার সামনে ঘুরে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে জমায়েত হবে। এখানে দেশখ্যাত আলেমরা বক্তব্য দেবেন।

আরও পড়ুন :  ভক্তের প্রেমের প্রস্তাবে রাজী পিয়া জান্নাতুল, তবে...

বেশ কয়েকদিন আগে থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সুন্নিজনতা। হাতে কালেমা খচিত বিভিন্ন রং-বেরংয়ের পতাকা নিয়ে ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মুস্তফা জানে রহমত ও গাড়িতে ইসলামিক সঙ্গীত বাজিয়ে যোগ দিবেন জুলুছে। এতে নবীপ্রেমি আশেকভক্তদের মনেপ্রাণে নতুন আবহ তৈরি করে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে জুলুছের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিভিন্ন মোড়ে সুসজ্জিত তোরণ দেওয়া হয়েছে। সড়কদ্বীপ, সড়ক বিভাজকে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা, আনজুমানের পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। কোথাও কোথাও আলোকসজ্জাও করার হয়েছে।

আরও পড়ুন :  চামড়া শক্ত মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের পাশাপাশি আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের (এএসএফ) প্রশিক্ষিত সদস্য, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কর্মী ও জামেয়ার হাজার হাজার ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। এ জশনে জুলুছে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ভক্তরা অংশ নেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে জশনে জুলুছের প্রবর্তন হয়েছে ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল। দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের (পাকিস্তান) তৎকালীন সাজ্জাদানশীন, আধ্যাত্নিক সাধক, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন। জুলুছের মধ্য দিয়ে প্রিয় নবীজীর প্রতি সম্মান ও বিশ্বশান্তির বার্তা দেওয়া হয়।

ঈশান/মখ/মসু

আরও পড়ুন