বুধবার- ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

এনসিটি পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

এনসিটি পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

ট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিদর্শন করেছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

বুধবার (৯ জুলাই) তিনি এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কন্টেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম পরিদর্শন করেন।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এনসিটিতে কর্মরত চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও সদস্যদের এবং বন্দরের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং এমডি চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডসহ অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :  পাহাড়ের টানে ডা. বাবর আলী

গত ৭ জুলাই চট্টগ্রাম ড্রাইডক লিমিটেডের কাছে বন্দর কর্তৃপক্ষ এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। এর ফলে বন্দরের কর্মকান্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা আরও বেগবান করবে বলে আশা করেন নৌবাহিনী প্রধান।

এর আগে ৬ জুলাই রাত ১২টায় সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় বিতর্কিত সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় রাজত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেকের বিদায় ঘণ্টা বেজে যায়।

আরও পড়ুন :  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য (শেষ পর্ব)

যদিও এনসিটি থেকে সাইফ পাওয়ারটেককে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আগে চূড়ান্ত হয়েছিল। প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেই টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে সরকার নৌবাহিনীকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তবে আইনি কিছুটা জটিলতা থাকায় সরাসরি নৌবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ড্রাইডককে এনসিটির দায়িত্ব দেয় সরকার।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমানে সবচেয়ে বড় টার্মিনাল এনসিটি। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা এই টার্মিনালে একসঙ্গে ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচটি জাহাজ ভেড়ানো যায়। এই টার্মিনালে চারটি জেটি রয়েছে এবং বন্দরের মোট কন্টেইনারের প্রায় অর্ধেক হ্যান্ডলিং করা হয় এই টার্মিনাল দিয়ে। এটিতে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজ হিসেবে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি সম্বলিত ইয়ার্ড। টার্মিনালে বন্দরের মালিকানাধীন জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠা-নামা করার জন্য রয়েছে ১৪টি গ্যান্ট্রি ক্রেন। এর পাশাপাশি কন্টেইনার স্থানান্তরের যত যন্ত্র দরকার, সবই আছে টার্মিনালটিতে।

আরও পড়ুন :  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য (শেষ পর্ব)

ঈশান/মউ/বেবি

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page