রবিবার- ২০ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে অবিবাহিত পুরুষ বেশি!

চট্টগ্রামে অবিবাহিত পুরুষ বেশি!

ট্টগ্রামে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। তবুও নারীর চেয়ে অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা বেশি। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ এবং নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ জন। ২৬.৫২ শতাংশ অবিবাহিত নারীর বিপরীতে পুরুষের হার ৪২.৪৩ শতাংশ।

চট্টগ্রাম জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের জনশুমারি ও গৃহগনণা ২০২২ এর রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বৃহ¯পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, ২০২২ সালে ১৪ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলায় জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার বেড়ে ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯ জন এবং শহর অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ জন।

এই সময়ে চট্টগ্রামে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বসবাস করেন ১৭৩৬ জন। ২০১১ সালে ছিল ১৪৪২ জন। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। চট্টগ্রামে মুসলিম জনসংখ্যা ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। হিন্দু জনসংখ্যা ১০.৭২ শতাংশ। বৌদ্ধ জনসংখ্যা ১.৬৩ শতাংশ।

এছাড়া জেলায় অবিবাহিত নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। নারী ২৬.৫২ শতাংশের বিপরীতে পুরুষের হার ৪২.৪৩ শতাংশ। পুরুষের চেয়ে বেশি নারীর সংখ্যা। প্রতি ১০০ জন নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯.৩৭ শতাংশ। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ এবং নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ জন। সে হিসেবে চট্টগ্রামে ২৮ হাজার ৮১৩ নারী বেশি।

চট্টগ্রামে সাক্ষরতা হার ৮১.০৬ শতাংশ, এর মধ্যে নারী ৭৯.২৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৮২.৮৮ শতাংশ। জেলায় ১৫-২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যা প্রায় ৩০.৩৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী পড়ালেখা, কাজ বা কোনো ট্রেনিং কার্যক্রমে যুক্ত নেই। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৬.৬২ শতাংশ, পুরুষ সংখ্যা ১২.১৬ শতাংশ। চট্টগ্রামে কমছে কৃষি নির্ভর পেশার পরিমাণ। জেলায় কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করা জনসংখ্যার পরিমাণ ১৭.৪৬ শতাংশ। এর বিপরীতে শিল্প খাতে ২৮.৭৪ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৫৩.৮০ শতাংশ জনসংখ্যা জড়িত রয়েছে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৭.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৬৮.৫০ শতাংশ। পুরুষ ৮৫.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৫০. ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪২.৪৩ শতাংশ এবং ৫৯.৫৪ শতাংশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তা চট্টগ্রামের জেলার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। বিশেষ করে স্যানিটেশন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামে এখনো ১.৪৯ শতাংশ কাঁচা/খোলা টয়লেট ব্যবহার করেন। এটিকে কিভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করছি।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দেব দুলাল ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দন কুমার পোদ্দার। এছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঈশান/খম/সুপ

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page