রবিবার- ২০ এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে গণধর্ষণের শিকার পেকুয়ার তরুণী

চট্টগ্রামে গণধর্ষণের শিকার পেকুয়ার তরুণী

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার শিকলবাহা বাংলাপাড়া ফজল সর্দারের বাড়ির মো. ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আকাশ (১৯) কে গ্রেপ্তার করে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ভিকটিমকে উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি)  দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকার শফি মেম্বারের বাড়ির পূর্বপাশে তিন রাস্তার মোড়ে গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায়।

এজাহারের বিবরণে উল্লেখ রয়েছে, ঘটনার দিন ভিকটিম পেকুয়া হতে বিকেলে বাসে করে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক মোড় আসেন। সেখানে মাহিন্দ্রা চালক মো. শওকতের সাথে পরিচয় হয়। ভিকটিম চট্টগ্রামের গার্মেন্টসে চাকুরি করবেন বলে তাঁকে জানান। পাশাপাশি মাহিন্দ্রা চালককে কর্ণফুলী থানা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া খুঁজে দিতে বলেন। ইতিমধ্যে মাহিন্দ্রা চালক বাসা খোঁজার জন্য তার বান্ধবী বিলকিছ আক্তার ও বন্ধু ইমনকে ফোন করে মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নিয়ে আসেন।

পরে ভিকটিমসহ সন্ধ্যার দিকে পায়ে হেঁটে কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) বিল্লাপাড়া এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তাদের মারধর করে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অটোরিকশায় তুলে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও মোহাম্মদ আকাশকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে ভিকটিমের খালা রিজিয়া বেগম (৪৫) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাদের মধ্যে আকাশ গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে। মামলায় পলাতক থাকা ৬ আসামিরা হলো– শিকলবাহা ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ আহম্মেদের পুত্র ওমর ফারুক (২৩), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সুলতান মাঝির ছেলে মো. সোলেমান (২৩), রাজ্জাকের ছেলে মো. রাজু (২৪), মামুনের ছেলে সাকমান (২০), নুরুল আমিনের ছেলে জোবাইদ (২৩), এবং মৃত শেখ আহম্মদের মো. ছেলে আসিফ (২৩)।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page