বৃহস্পতিবার- ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে ছাত্রদলকর্মী খুনের হোতা বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ছাত্রদলকর্মী খুনের হোতা বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার

ট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়ায় ছাত্রদলকর্মী মো. সাজ্জাদ (২২) হত্যার মূলহোতা ইউসুফ প্রকাশ হিরনকে (২৫) বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রিয়াজ করিমও (৩৩) ধরা পড়েছেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে চান্দগাঁও থানাধীন মীর বাড়ি এলাকা থেকে ইউসুফ প্রকাশ হিরনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের সময় বাকলিয়া থানাধীন সুরভী আবাসিক এলাকার খালপাড়ে অবস্থিত এসবিএন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি নির্মাণসামগ্রীর অফিস থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ¯েপনের তৈরি একটি বিদেশি পিস্তল, একটি গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।

পৃথক আরেকটি অভিযানে মৃত আনু মিয়ার পুত্র, এজাহারনামীয় ১০ নম্বর আসামি রিয়াজ করিম (৩৩) কে পটিয়া থানাধীন জঙ্গলখাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন :  দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্বাচন

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান সিএমপির বাকলিয়া থানার ওসি তদন্ত মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ছাত্রদল কর্মী সাজ্জাদ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া ইউসুফ প্রকাশ হিরনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তার দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহৃত বিদেশি অস্ত্রটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

ওসি তদন্ত আরও জানান, কোতোয়ালী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আলমগীর হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে অংশ নেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক, এসআই আফতাব হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কিশোর মজুমদার, এসআই আবদুল মোমিন, মোবারক হোসেন, ফরহাদ মহিম, আব্দুল কাদের, শরীফ উল্লাহ, মিজানুর রহমান, এএসআই জহিরুল ইসলাম, নূরে আলম, সাইফুল আলম ও সফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন :  চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

এর আগে বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতভর অভিযানে এজাহারনামীয় ৬ জনসহ মোট ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও বাকলিয়া থানা পুলিশ। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ এবং বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), সাইদুল ইসলাম (২০), এমরান হোসেন সাগর (৩০), জিহান (২৩), আমজিদুল ইসলাম সাজু (৪৭), মোহাম্মদ আরাফাত (২২), মো. ওসমান (২৮) এবং দিদারুল আলম চৌধুরী রাসেল (৪২)। এ নিয়ে সাজ্জাদ হত্যা মামলায় মোট ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর থেকেই থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িতদের গ্রেপ্তার করা এবং হত্যায় ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল উদ্ধারে আমরা সফল হয়েছি।

আরও পড়ুন :  চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড সংলগ্ন মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে একদল সশস্ত্র যুবক গুলি চালালে স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী মো. সাজ্জাদ (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলিতে আহত হন আরও অন্তত ১৪ জন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. আলম (৫৭) বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা (নং-৩০) দায়ের করেন।

ঈশান/খম/মসু

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page