বুধবার- ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও জব্দ নিষিদ্ধ ঘনচিনি

চট্টগ্রাম বন্দরে আবারও জব্দ নিষিদ্ধ ঘনচিনি

ট্টগ্রাম বন্দরে আবারও জব্দ করা হয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) চালান। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায় কাস্টমস চট্টগ্রামের উপ-কমিশনার এইচ এম কবির আহমেদ।

কবির আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল ঢাকার সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ২০০ কেজি ঘনচিনি আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের গোয়েন্দা টিম। এজাজ ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে একটি কনটেইনারে ২২ হাজার ৮৮ কেজি পণ্য আমদানি করে।

আরও পড়ুন :  নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে একসঙ্গে এলো পাঁচ সন্তান

পণ্যটি পলিএলুমিনিয়াম ক্লোরাইড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু কাস্টমস ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষায় দেখা যায় এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮০০ কেজি পলিএলুমিনিয়াম ক্লোরাইড হলেও বাকি ৪২০০ কেজি ঘনচিনি।বলে জানান কাস্টমসের এ কর্মকর্তা।

গত ২১ অক্টোবর কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে কাস্টমস খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে। পরবর্তীতে ৬ নভেম্বর কায়িক পরীক্ষায় দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। পরে এসব পণ্য লাব টেস্ট করা হলে কারচুপি ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন :  নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে একসঙ্গে এলো পাঁচ সন্তান

সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির তুলনায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কম খরচে অতিরিক্ত মিষ্টতা পেতে মিষ্টান্ন, বেকারি, আইসক্রিম, পানীয় ও শিশু খাদ্যে এটি ব্যবহার করে থাকে। তবে এটি ক্যান্সারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী ঘনচিনি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। তাই কাস্টমস আইন, ২০২৩ অনুযায়ী পণ্য আটক করা হয়েছে এবং আমদানিকারকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন :  নিঃসন্তান দম্পতির ঘরে একসঙ্গে এলো পাঁচ সন্তান

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২৮ অক্টোবরও পৃথক দুটি চালানে প্রায় ১০০ টন নিষিদ্ধ ঘনচিনি আটক করা হয়েছিল। সেই ঘটনার আইনগত কার্যক্রম এখনও চলমান। এ ঘটনায় কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার উপর হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা।

ঈশান/মম/মখ

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page