Skip to content

বৃহস্পতিবার- ৫ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজ টুর্নামেন্ট

দেশের হয়ে খেলতে ভারত গেলেন চট্টগ্রামের সাহাবুদ্দিন

দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ হুইল চেয়ার ক্রিকেট দল। শনিবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট ক্রিকেটারদের নিয়ে ভারতের উদ্যেশ্যে রওনা দেয়।

দ্বিপক্ষীয় এই সিরিজে খেলবে চট্টগ্রামের সাহাবুদ্দিন। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের মোল্লাপাড়ার সারেং বাড়ির মজিবুল হক ও জাহেদা বেগমের ছোট সন্তান। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন সাহাব উদ্দিন। তবে অন্য দশজন প্রতিবন্ধির মতো নিজেকে গুটিয়ে রাখেননি। অদম্য ইচ্ছা আর প্রবল মনোবলের জোরে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ হুইল চেয়ার দলে।

এর আগে সাহাবুদ্দিন খেলেছেন আম্পুচি ফুটবলেও। দাঁপিয়ে বেড়াতেন ৬০ মিটারের মাঠ। এক পা নিয়ে খেলা এ ফুটবলে ভুলক্রমে ক্র্যাচে বল লাগলেই হতো ফাউল। স্ক্র্যাচে বল না লাগিয়েই এ চ্যালেঞ্জিং ফুটবল দুর্দান্ত খেলেছিলেন সাহাব উদ্দিন। ফুটবলের দুর্দান্ত এ খেলোয়াড় এবার জায়গা করে নিলেন ক্রিকেটেও।

প্রকৃতির সাথে পাঞ্জা লড়ে বেড়ে উঠা সাহাব উদ্দিন মনেই করেন না তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি। অন্য ১০ জন স্বাভাবিক মানুষের মতোই প্র্যাকটিস করেন দৌড়-ঝাঁপ, সাইক্লিং। ছোটবেলা থেকেই তার নেশা ছিলো খেলাধুলার প্রতি। স্কুলজীবনে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন ক্রিকেটও। খেলার পাশাপাশি পরিচালনা করতেন বিভিন্ন টুর্নামেন্ট।

শনিবার সকালে বিমানবন্দর ছাড়ার আগে ক্রিকেটার সাহাবুদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ২০১৯ সালে ত্রিদেশীয় হুইল চেয়ার ক্রিকেট সিরিজে ভারত-নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ দল। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ভারত হুইল চেয়ার ক্রিকেট টিমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আমরা ভারত যাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। সবকিছু ঠিক থাকলে সিরিজ শেষ করে আগামী ১১ মে আমাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, আমার এতোদূর আসার পেছনে পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি সবচেয়ে বেশি। অলসতা আমার পছন্দ নয়। আর কোনো কাজকে আমি ছোট করে দেখি না। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে আমি বাজারে তরকারির ব্যবসা করেছি। আমার চেষ্টা ছিলো, সকলের সহযোগিতা ছিলো যে কারণে আমি নিজের অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি।

ক্রিকেটার সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি নিজে প্রতিবন্ধি। আমি বুঝি প্রতিবন্ধি মানুষদের কষ্ট। গত ১ বছর ধরে আমার জন্মস্থান মিরসরাইয়ে আমি ডিজেবল মানুষদের নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি তাদের সাপোর্ট দেওয়ার। তাদের বোঝাতে চাই, আমরা ডিজেবল নই। আমাদেরও এবিলিটি আছে।

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page