বৃহস্পতিবার- ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পাঁচ স্পিন নিয়ে প্রস্তুত কিউই দল

সফরকারী দলগুলোর জন্য স্বাগতিক বাংলাদেশের কৌশলটা সবারই জানা। ঘূর্ণিবান্ধব উইকেট তৈরি করে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলা। সোজা কথায়, স্পিন নির্ভর দল তৈরি করে উইকেটের ফায়দা হাসিল করা। বাংলাদেশের এই কৌশলের জবাবটা ঘূর্ণিতেই দিতে চায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এই সফরে ১৫ সদস্যের কিউই দলে আছেন পাঁচজন স্পিনার।

সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ২৮ নভেম্বর দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার অনুশীলন করেছে দুই শিবিরই। সিলেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই নম্বর মাঠে অনুশীলন করেছে নিউজিল্যান্ড দল। এরপর দুপুর দেড়টা থেকে এক নম্বর মাঠে অনুশীলন করেছে টাইগাররা।

আরও পড়ুন :  চামড়া যাদের শক্ত সেসব মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

এই সফরে টাইগারদের জন্য সব ধরনের ঘূর্ণি দাওয়াই রেখেছে কিউইরা। লেগস্পিনার, বাঁহাতি স্পিনার, অফস্পিনার সবকিছুই মজুদ আছে সফরকারী দলটিতে। সফরকারী শিবিরে একমাত্র অফস্পিনার হিসেবে আছেন গ্লেন ফিলিপস। যদিও ব্যাটার হিসেবেই তার পরিচয়টা বড়। আসন্ন টেস্ট সিরিজে বল হাতে তার ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান ফিলিপস।

গত বৃহস্পতিবার সিলেটে সংবাদমাধ্যমে এই কিউই অলরাউন্ডার বলেন, আমাদের দলে এখন আমি একমাত্র অফস্পিনার। এখানে অন্যরা যেভাবে বল ঘোরাবে, আমি এর চেয়েও ভিন্ন কিছু করতে পারব। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটার আছে, আর তাই আমি অবশ্যই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারব। এমনকি ব্যাটের বাইরে বল রাখতে পারব, যা অন্যদের জন্য সহজ হবে না। আমাকে যে ভূমিকাই পালন করতে দেওয়া হোক না কেন আমি সেটাই পালন করতে প্রস্তুত। আমি আমার নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন :  আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র শনাক্ত করা যাচ্ছে না

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে ঘূর্ণিজালেই বাজিমাত করে কিউই শিবির। দলটির লেগস্পিনার ইশ সোধিকে খেলতে গলদঘর্ম দশা হয় স্বাগতিকদের। তিন ম্যাচের সিরিজটিতে টাইগাররা হেরে যায় ২-০ ব্যবধানে। আসন্ন টেস্ট সিরিজে স্পিনাররা নির্ধারক হবে বলেই মনে করছেন সফরকারীরা।

২০১৬ সালে প্রথমবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফিলিপস। এত বছর পর এসে সিলেটের সবুজ উইকেট দেখে তিনি মুগ্ধ। ফিলিপস বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার দ্বিতীয় সফর। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে এখানে এসেছিলাম। তবে আমরা যেমন ভেবে এসেছিলাম, উইকেট তার চেয়ে বেশি ফাস্ট। তবে ম্যাচ শুরু হতে আরও চার দিন বাকি আছে। বদলে যেতে পারে অনেক কিছুই। তবে আমরা প্রথম টেস্টের জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

এই সিরিজটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। এ প্রসঙ্গে ফিলিপসের ভাষ্য, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খুবই রোমাঞ্চকর। প্রতিবার ফ্রেশ একটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দারুণ একটা ব্যাপার। আশা করি সবাই সময়টা উপভোগ করবে। যোগ করেন, দেশের বাইরে টেস্ট জিততে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সফরে তাদের লক্ষ্যটা যে পরিষ্কার, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন ফিলিপস। ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৬ ডিসেম্বর।

ঈশান/মখ/সুপি

আরও পড়ুন