
ঈশান ডেস্ক :
প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ছাত্রীকে নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড় চলছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হয়েছে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
শনিবার ঘটনার তদন্তে নির্যাতিতার দুর্গাপুরের হোস্টেলে আসেন রাজ্য মহিলা কমিশনারের প্রতিনিধিরা। এদিন দুপুরে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের ওই সরকারি মহিলা হোস্টেলে গিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ছাত্রী কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, ওই অধ্যাপক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক মাস শারীরীক সম্পর্ক করেছেন। এরপরই হঠাৎ ছাত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
এই ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আসানসোল মহিলা থানায় এই ঘটনার কথা জানান। চলতি বছরের প্রথম দিকেই থানা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ওই শিক্ষার্থী। কোনও সুরাহা না হওয়ায় বিচারের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বারস্থ হন তিনি।
দুর্গাপুর মহিলা থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চলতি মাসের ১০ তারিখ লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই নির্যাতিত ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়। ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মহিলা কমিশনের সদস্যরা।
রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য দেবযানী চক্রবর্তী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ রয়েছে। আমরা গোটা ঘটনা তার থেকে শুনেছি। শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থার অভিযোগ ছিল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এখনও তদন্ত চলছে। আমরা রিপোর্ট দেব। অভিযুক্ত অধ্যাপককে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, কিন্তু তিনি জামিন পেয়ে গিয়েছেন। পুলিশের থেকে আমরা বিস্তারিত তথ্য চেয়েছি। কেন জামিন পেলেন তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। কোন কোন ধারায় তাকে গ্রেফতার করানো যায় সেটা আমরা দেখছি। ওই ছাত্রী বাংলাদেশ থেকে এখানে পড়াশোনা করতে এসেছেন, এখানে ওনার কোর্স দেড় বছর বাকি রয়েছে। দোষী যাতে শাস্তি পায় সেটার জন্য আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি। ওই শিক্ষার্থীর যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় সেই চেষ্টাও পুলিশ করছে।’
ঈশান/ফজ