
ক্যাম্পাসের অতিত স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে আবারও একত্র হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে এই মিলনমেলা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক সাবেক শিক্ষার্থী ও বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে ঐক্য বৃদ্ধি করার জন্য এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে।
দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়ে মিলনমেলার আনুষ্ঠানিকতা চলবে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন ব্যাচের চার হাজারের মতো প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালেয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো অ্যালামনাই সদস্যদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কীভাবে সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়গুলো আলোচনা হবে।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, পুনর্মিলনী আয়োজনে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কেবল রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাই মিলনমেলায় অংশ নিতে পারবেন। প্রবেশের সময় আমন্ত্রণপত্র ও রিবন প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি আমন্ত্রণপত্রে থাকা কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে প্রবেশ নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানের সূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টায় উদ্বোধনের মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর থাকবে উপস্থাপকদের পরিচিতি, কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী নৃত্য। বিকেল ও সন্ধ্যায় তিন পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটির পরিচিতি ও শুভেচ্ছা বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জুলাই শহিদদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জানানো হবে। রাতের পর্বে থাকবে প্রীতিভোজ, ব্যান্ড সংগীত, র্যাফেল ড্র এবং শিল্পী সাব্বির ও পুতুলের দ্বৈত সংগীত পরিবেশনা। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ হবে অনুষ্ঠান।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক একরামুল করিম বলেন, অনুষ্ঠানকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিং, খাবার বিতরণ, পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ ও জরুরি চিকিৎসাসেবার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতায় এ আয়োজন সফল হবে।