সোমবার- ২০ অক্টোবর, ২০২৫

অরক্ষিত চট্টগ্রাম আদালত, বিপুল মামলার নথি গায়েব!

অরক্ষিত চট্টগ্রাম আদালত, বিপুল মামলার নথি গায়েব!

ত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না চট্টগ্রাম আদালতে। নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া রবিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় সোমবার।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আরও পড়ুন :  আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা চট্টগ্রামের এক নারী, নজর নেই পুলিশের

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, কে বা কারা আদালতে আমার অফিসের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি নিয়ে গেছে। আমার কক্ষে জায়গা না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিগুলো এত দিন বারান্দায় রাখা ছিল। তবে নথিগুলো আমি যোগদানের আগের মামলার।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে জাবেদ-ওয়াসিকাসহ ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নগরের কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারনায় মুখর থাকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ছোটখাটো বিষয় নয়। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে।

আরও পড়ুন :  শাহজালালের কার্গো ভিলেজে আগুন, ৮ বিমান চট্টগ্রামে

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা ১ হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঈশান/খম/মসু

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page