বৃহস্পতিবার- ১৩ মার্চ, ২০২৫

নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধীদের

নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধীদের
print news

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে শিগগিরই নতুন ছাত্র সংগঠন করার কথা জানিয়েছে প্ল্যাটফর্মটির বেশ কয়েকজন নেতা। তারা বলছেন, মূলত জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হবে এই নতুন ছাত্র সংগঠন। মধ্যমপন্থী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নারীদের রাজনৈতিক মানস গঠন ও বিগত সকল জাতীয় গণআন্দোলনকে ভিত্তি করে এই সংগঠনের যাত্রা হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সংগঠনের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়করা। এসময় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবু বাকের মজুমদার, আব্দুল কাদের, জাহিদ আহসান, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, তাহমিদ আল মুদ্দাস্সির, হাসিব আল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন।

কোন পটভূমিতে এই রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন সৃষ্টি হচ্ছে তার বর্ণনা দিতে গিয়ে আব্দুল কাদের বলেন, বিগত সময়ে সরকারের প্রতিটি জায়গায় কায়েম হয়েছিল কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ, যার মাধ্যমে সাধারন মানুষের সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা অধিকার হরণের বৈধতা উৎপাদন করে গেছে। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন ও শিক্ষার্থীরা এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পায়নি।

প্রস্তাবনা পেশ করতে গিয়ে আবু বাকের মজুমদার বলেন, এই সংগঠন হবে মধ্যমপন্থী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। বিগত সময়ের দলগুলোতে নারীদের উপস্থিতি ছিল না। এই সংগঠন নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের রাজনৈতিক মানস গঠন করবে। ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ অবধি সকল জাতীয় গণআন্দোলনকে ধারণ করবে ছাত্র সংগঠনটি।

কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আজকে অনলাইনে ও আগামীকাল থেকে অনলাইন-অফলাইনে জনমত জরিপ ও সদস্য আহ্বান করা হবে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল এলাকা, মোকাররম ভবন এলাকা, কলাভবন, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ এলাকা, মোতাহার ভবন এলাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শহরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ছাত্র সংগঠনটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এই ছাত্র সংগঠনটি কখনো লেজুড়বৃত্তি করবে না, স্বতন্ত্র থাকবে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে আভ্যন্তরীণ চাঁদা গ্রহণের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতা নির্বাচন করা হবে। মূল স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট বাংলাদেশ ফার্স্ট।’

সবশেষ তিনি বলেন, জনমত জরিপের পর ছাত্র সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে। এখনো নাম ও আত্মপ্রকাশের তারিখ নির্ধারণ হয়নি৷

ঈশান/মখ/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page