মঙ্গলবার- ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

আওয়ামী সম্পৃক্ততায় বিএনপির দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাহত ৬

আওয়ামী সম্পৃক্ততায় বিএনপির দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাহত ৬

ওয়ামী সম্পৃক্ততাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে বিএনপির দু‘পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ইফতারি বিতরণের সময় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রিপাড়া মুন্সি মিয়ার পুরান বাড়ি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা বিএনপি নেতাকর্মীরা হলেন, খুরশিদ আলম, রাকিব, মুরাদ, সোহেল, হাসান মুরাদ ও জালাল।

এদের মধ্যে খুরশিদ ও রাকিব চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক স¤পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ গ্রুপের অনুসারী। কামরুল ইসলাম চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর অনুসারী। আহত বাকিরা সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী।

আরও পড়ুন :  নির্বাচন কমিশন প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারে : সিইসি

নগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি কাজী রফিকুল ইসলাম শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে বলে জেনেছি। এতে কয়েকজন ছুরিকাহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মো. ইউনূস জানান, জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির উদ্যোগে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। সেখানে জিয়া মঞ্চ থানা কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার ও তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সবুরকে নিয়ে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছিলো। সবুরের ঘরে ওই ইফতারের বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে। সে ডলার নাছিরের অনুসারী। আমি দেলোয়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি বিএনপি করে কেন আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা করতেছো। এই কথা বলায় সে লোকজন নিয়ে আমার সাথে থাকা খুরশিদ আলমকে ছুরি মারে। এতে আমাদের রাকিব নামে আরও একজন আহত হয়। তারা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিব।

আরও পড়ুন :  সিএমপির ‘মানিলন্ডারিং’ তালিকায় ১৪৫ নেতা ও মন্ত্রী-এমপির নাম

জানতে চাইলে জিয়া মঞ্চ ডবলমুরিং থানা কমিটির আহ্বায়ক মো. দেলোয়ার বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ৩০০ মানুষের ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছিলাম। ইফতার নেওয়ার জন্য মানুষজনও এসেছিল। খুরশিদ, রাকিব, ইউনুস ও সেলিমরা এসে আমাদের নেত্রীর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে। এরপর আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ৩০০ বিরিয়ানির প্যাকেট রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। তারা হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা আর ছুরি নিয়ে আসছিল। আমাদের এলোপাতাড়ি মেরেছে।

আরও পড়ুন :  সিএমপির ‘মানিলন্ডারিং’ তালিকায় ১৪৫ নেতা ও মন্ত্রী-এমপির নাম

দেলোয়ার বলেন, রাকিব আমাকে ছুরিকাঘাত করতে গেলে আমি সরে যাই এবং সেই আঘাত খুরশেদের গায়ে লাগে। তারা আওয়ামী লীগের মানুষ নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। যারা চিকিৎসা নিতে মেডিকেল গেছে, তাদেরকে মেডিকেল গিয়েও মেরেছে।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page