
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে সেকশন অফিসার জাহেদ হোসেন ও অফিস সহায়ক জমির উদ্দিন নামে দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদেরকে কেন চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অফিস সহকারী আয়ুব আলীকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বোর্ডে বিবদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট বাকবিতন্ডা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট প্রদানের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২ নভেম্বর বেলা ১১টা ৪০ থেকে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে বোর্ডের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত সেকশন অফিসাররা পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎ করতে যান। পরে হিসাব শাখায় কর্মরত সেকশন অফিসার জাহেদ হোসেন, অফিস সহকারী আয়ুব আলী, অফিস সহায়ক জমির উদ্দিন অনুমতি না নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং এক পর্যায়ে অশোভন, অশালীন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।
এদের মধ্যে জাহেদ হোসেন ও জমির উদ্দিন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এছাড়া বোর্ড চেয়ারম্যানের রুমে উপস্থিত অন্যান্যদের সঙ্গেও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন, যা সরকারি কর্মচারী বিধিমালার পরিপন্থী। এমতাবস্থায় কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী জাহেদ হোসেন ও জমির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আয়ুব আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ বলেন, চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জাহেদ হোসেন ও জমির উদ্দিন নামের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন তাদের স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাহেদ হোসেন ও জমির উদ্দিন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়া অপর একটি ঘটনার তদন্তে স্কুল পরিদর্শক প্রফেসর আবুল কাসেমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।











































