বুধবার- ১২ নভেম্বর, ২০২৫

গ্রাহকের ৩ কোটি টাকা আত্নসাৎ

ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩ জনের কারাদন্ড

ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩ জনের কারাদন্ড

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগে বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে আত্নসাতের সমপরিমাণ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলার বিচার শেষে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন।

দন্ডিতরা হলেন- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির, নগরীর খুলশী এলাকার লাবীবা ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন বাপ্পী এবং আজম চৌধুরী নামে আরেক ব্যক্তি।

আরও পড়ুন :  ক্ষমতায় গেলে আ`লীগের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেওয়া হবে : মির্জা ফখরুল

দুদক-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোকাররম হোসাইন জানান, রায়ে ইফতেখারুল কবির ও তার জালিয়াতির সহযোগী আজম চৌধুরীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জাকির হোসেন বাপ্পীকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে আত্নসাতের সমপরিমাণ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের আদেশের পর দন্ডিত তিনজনকে সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত দন্ডিত জাকির হোসেন বাপ্পীর স্ত্রী ফারজানা হোসেন ফেন্সীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেজর ইকবাল গ্রেপ্তার

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৬ টাকা আত্নসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন। দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান আসামি ইফতেখারুল কবির একাধিক গ্রাহককে এফডিআর-এর নথি বুঝিয়ে না দিয়ে হিসাব নম্বরে টাকা জমা করেন। পরবর্তীতে অপর আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের চেক ব্যবহার করে সেই টাকা উত্তোলন করেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মেজর ইকবাল গ্রেপ্তার

এরপর কয়েক দফায় জাকির হোসেন বাপ্পী ও ফারজানার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে সেই টাকা স্থানান্তর করে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন। পরবর্তীতে কয়েকজন গ্রাহক তাদের এফডিআর-এর টাকা উত্তোলন করতে গেলে আত্নসাতের বিষয়টি ফাঁস হয়।

এ ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিম উল্লাহ নগরীর চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডিমূলে দুদক অনুসন্ধান করে গ্রাহকের অর্থ আত্নসাতের সঙ্গে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে মামলা করে।

ঈশৈান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page