সোমবার- ২০ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে ভারতীয় রাকেশের মাদক সিন্ডিকেট

র‌্যাবের হাতে ধরা ৬ সহযোগী

ভারতের ত্রিপুরায় জন্মেছিলেন রাকেশ শীল। বাপ-মা মারা যাওয়ার পর ১৯৯৭ সালে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রথমে নোয়াখালীতে আসেন। তারপর ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মধুগ্রামের ঠিকানায় জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম লিখান মৃত ফরিদ, নিজের নাম রাখেন মো. হোসেন (৩৫)।

পরে এসে কাজ নেন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা এলাকায় এক সেলুনে। সেলুনের কাজ ছেড়ে কাজ নেন গাড়ির হেলপারের। বিয়েও করেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে। এক পর্যায়ে এসব পেশার পরিবর্তে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। বসবাস শুরু করেন সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুরে। আর মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে।

আরও পড়ুন :  মাশুল বাড়ায় বন্ধ প্রাইভেট ট্রেইলার, পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা

অবশেষে রাকেশ শীল মাদকের চালানসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে। মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে এ তথ্য জানান র‌্যাবের কো¤পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আমাদের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে রাকেশের মাদক আস্তানা ধ্বংস হয়েছে। এবার রাকেশ নিজেই মাদকের চালানসহ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ধরা পড়ে। এ সময় মাদকবাহী দুটি পিকআপ জব্দ ও ছয় সহযোগীসহ রাকেশকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন :  আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা চট্টগ্রামের এক নারী, নজর নেই পুলিশের

তিনি আরও বলেন, রাকেশ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে রাকেশের নামে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। রাকেশের সহযোগীরা হলো চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী আমবাগানের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুর জব্বার (৩৮), হাটহাজারী উপজেলার মধ্যম পাহাড়তলীর সিরাজের ছেলে মো. ইদ্রিস (৩৮), ফটিকছড়ির রশিদের ছেলে আলী হোসেন খোরশেদ (২৭), সাতকানিয়ার মাহালিয়ার ফরিদুল আলমের ছেলে আমান উল্লাহ (২৬), কক্সবাজারের চকরিয়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. নুরুল কাদের ভুট্টো (২৫) এবং একই এলাকার আহমদ কবিরের ছেলে মনির উদ্দিন (৩৫)।

আরও পড়ুন :  বাড়ি-গাড়ি, জাহাজ-লরি সবই আছে যমুনা অয়েলের গেজার জয়নালের!

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ফেনী জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে পর¯পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা। তাদেরকে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page