Skip to content

শনিবার- ৭ জুন, ২০২৫

এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে হাইকোর্টের নির্দেশ

চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ এস আলমের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ পাচার সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অনুসন্ধান প্রতিবেদন দুই মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশও দিয়েছে উচ্চ আদালত।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (৬ আগস্ট) স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তাছাড়া এই অর্থ পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে উচ্চ আদালত।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেয় আদালত। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরে তিনি শুনানিতে অংশ নেন। কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

গত ৪ আগস্ট ‘‘এস আলম’স আলাদিন’স ল্যাম্প” (এস আলমের আলাদিনের চেরাগ) শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো অনুমতি তিনি নেননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) দেশের বাইরে বিনিয়োগের জন্য এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামভিত্তিক বিশাল এই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম সেই তালিকায় নেই। কাগজপত্রে আরও দেখা যায়, গত এক দশকে সিঙ্গাপুরে এস আলম অন্তত দুটি হোটেল, দুটি বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্পেস এবং অন্যান্য যে সম্পদ কিনেছেন এবং সেখানেও বিভিন্ন উপায়ে কাগজপত্র থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিমাণ অর্থ ২০০৯ সালের পর সিঙ্গাপুরে এস আলমের কেবল দুটি হোটেল ও একটি বাণিজ্যিক স্পেস কেনা ৪১১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দশ ভাগের এক ভাগ মাত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে আরও দেখা যায়, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে এক লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়।

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page