Skip to content

শুক্রবার- ৬ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের বদলে আসছে জোড়া জলহস্তি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আসছে নতুন অতিথি। ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে আনা হচ্ছে এই জোড়া জলহস্তি। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এই জলহস্তি যোগ হবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। বাঘের বদলে এই জলহস্তি আনা হচ্ছে বলে জানান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চিড়িয়াখানাকে আরও আধুনিক ও পর্যটকবান্ধব করতে প্রথমবারের মত জলহস্তি আনা হচ্ছে। যেহেতু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অনেকগুলো বাঘ আছে তাই ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানায় এক জোড়া বাঘ দেয়া হচ্ছে। তার পরিবর্তে তাদের থেকে আমরা এক জোড়া জলহস্তি আনার অনুমতি পেয়েছি।

তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতেই নতুন নতুন প্রাণীর সংযোগ করা হচ্ছে। প্রাণীদের জন্য বাড়ানো হচ্ছে খাঁচা। চিড়িয়াখানায় আগে যেখানে কুমিরের খাঁচা ছিল সেখান থেকে স্থানান্তর করে পাহাড়ের পশ্চিম পাশে লেকের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে কুমিরের নতুন খাঁচা। সেখানে নীল পানির মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশে আয়েশ করে ঘোরাফেরা করছে কুমিরগুলো। সেই দৃশ্য নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।

আর কুমিরের আগের জায়গায় নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি জলহস্তির বাসস্থান। এরমধ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে রং করা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই চিড়িয়াখানা। বিগত দুই দশক আগে মৃতপ্রায় এই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য আনা হয়েছে ম্যাকাউ, সিংহ, ক্যাঙ্গারু, ওয়েলবিস্ট, লামাসহ অনেক প্রাণী। জলহস্তি যুক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০টিতে।

৩৪ বছর বয়সী এই চিড়িয়াখানায় এখন পর্যন্ত সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশু-পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। প্রতিদিন এই চিড়িয়াখানায় ৪-৫ হাজারের মতো দর্শনার্থী আসে। আর শুক্র ও শনিবারসহ যে কোন বন্ধের দিনে তা ১০ হাজার পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page