Skip to content

শনিবার- ৭ জুন, ২০২৫

হুথি হামলার মুখে বন্ধ জার্মানির টেসলার কারখানা!

“ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ আক্রমণ করছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে জাহাজগুলো আর ওই রাস্তায় যাচ্ছে না। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা”

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনেকটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। জার্মানিতে বন্ধ হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টেসলার কারখানা।

ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে টেসলা জার্মানিতে ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টেসলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যন্ত্রাংশ কম থাকায় জার্মানির কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের কাজ ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের এই সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ আক্রমণ করছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ফলে জাহাজগুলো আর ওই রাস্তায় যাচ্ছে না। গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

টেসলা বলেছে, লোহিত সাগরে এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাহাজগুলো এখন কেপ অফ গুড হোপ দিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে টেসলার কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।

লোহিত সাগরে হুথির আক্রমণ শুরুর পর টেসলাই প্রথম কোম্পানি যারা কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিল। হুথিদের আক্রমণের প্রভাব অনেক কারখানার উপরেই পড়ছে। চীনের অন্যতম বড় গাড়ির কারখানা এবং সুইডেনের হোম ফার্নিশিং কারখানা গ্রাহকদের জানিয়েছে, তাদের কাছে জিনিস পৌঁছাতে দেরি হবে।

বিশ্বের বড় শিপিং কোম্পানিগুলি এখন সুয়েজ খাল ব্যবহার করছে না। এই রাস্তা দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ জাহাজ চলাচল করে। প্রায় সব বড় শিপিং কোম্পানি কেপ এফ গুড হোপ দিয়ে তাদের জাহাজ পাঠাচ্ছে। এর ফলে শুধু যে ১০ দিন বেশি সময় লাগছে তাই নয়, এতে খরচও হচ্ছে অনেক বেশি। এশিয়া থেকে ইউরোপ যেতে নয় লাখ ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত জ্বালানি লাগছে। এর ফলে সরবরাহ চক্র ভেঙে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাস থেকে বর্লিনের কাছের কারখানায় উৎপাদন শুরু করে টেসলা। সেখানে ১১ হাজার পাঁচশ কর্মী কাজ করেন।

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page