
গণআন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। প্রতিনিয়ত বিদেশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি দেশে নেই বলেই জানান দিচ্ছেন।
তবে নায়িকার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র গণমাধ্যমকে বলছেন, নিপুণ দেশেই লুকিয়ে আছেন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে দেশ ছাড়তে পারেননি। বাসা থেকেও বের হচ্ছেন না তিনি। শেখ সেলিমসহ অনেক নেতার সঙ্গে এখনো যোগাযোগ রয়েছে তার।
বিভিন্ন মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পরই ১০ আগস্ট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার বিদেশে যাওয়ার খবরটিকে সত্য বলে প্রমাণ করার জন্য এটাও ছড়িয়েছেন, বিদেশেও নাকি বাঙালি কমিউনিটির ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। ফলে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন।
সহসাই তার দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই। আলোচনায় থাকতে দেশে ফিরলে তোপের মুখে পড়তে পারেন, এমন মিথ্যাও রটাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিপুণ দেশেই রয়েছেন। অবস্থান করছেন রাজধানীতে তার নিজ বাসায়।মামলা-হামলার ভয়ে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন তিনি। প্রতিনিয়ত সামাজিক মাধ্যমে ও তার নিজস্ব লোক দ্বারা মিথ্যাচার করে আসছেন এ নায়িকা।
একসময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে নিয়মিত পাওয়া যেত এ নায়িকাকে। শুধু তাই নয়, শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। ক্ষমতার জোরেই তিনি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার দখল করেন। কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের একক সিদ্ধান্তেই চালাতেন সমিতি।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে অভিনয়ে আসেন নিপুণ। তার দু‘বছর পরই ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আর তাতেই জীবন বদলে যায় এ নায়িকার। আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে সখ্য ও তাদের ক্ষমতাবলে একের পর এক নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করেন। বাগিয়ে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
আরও পড়ুন এ সংক্রান্ত নিউজ :