রবিবার- ৪ মে, ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদন্ড

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলা চট্টগ্রামে ৪ আসামির মৃত্যুদন্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইকবাল আজাদকে খুনের মামলায় ৪ আসামির মৃত্যুদন্ড ও ১০ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায় দেন। আদালত রায় ঘোষণা করার পর-পরই বাইরে থাকা আসামিদের আত্নীয়-স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অশোক কুমার দাশ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

আশোক কুমার দাশ জানান, ১২ বছর আগে খুনের শিকার হওয়া ইকবাল আজাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। ইকবাল আজাদের স্ত্রী উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলি আজাদ একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৩১২ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

মামলার নথির বিবরণ মতে, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরাইলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ। পরদিন তার ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম (প্রয়াত), সহসভাপতি সাদেক মিয়া (প্রয়াত), তৎকালীন সাধারণ স¤পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম স¤পাদক আবদুল জব্বার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৎকালীন কমান্ডার ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি মাহফুজ আলী, সাবেক সহসভাপতি আল ইমরান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ স¤পাদক হাফিজুল আসাদ ও সাবেক সাধারণ স¤পাদক হাবিবুর রহমানসহ ২৯ নেতাকর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে দু‘জন মারা গেছেন এবং ছয় জন পলাতক রয়েছেন। রায়ের সময় অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show