শনিবার- ১৫ মার্চ, ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্যপ্রার্থীরা মাঠে

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্যপ্রার্থীরা মাঠে
print news

গামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি এখনো। ঘোষণা করা হয়নি নির্বাচনের তারিখও। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের শেষের দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন।

এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় হয়ে ওঠেছেন। দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে একটু বেশি সক্রিয় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

যদিও চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য একক প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে অনেক আগেই। দলে অন্য কোন মনোনয়ন প্রত্যাশী নেই। এরপরও দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বেশ কৌশলে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ঢাকঢোল না পিটিয়ে ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগ বাড়িয়ে নিজেদের তুলে ধরছেন তারা।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সাধারণ মানুষের ভাষ্য, স্বেরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে বেশ তৎপরতা চালাচ্ছেন।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই আসনে বিএনপির অন্য কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপর রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। তবে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকেও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

একইভাবে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুন্ড) আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। এই আসনেও বিএনপির অন্য কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। তবে এ আসনেও জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপর রয়েছেন আনোয়ারুল সিদ্দিকী।

এদিকে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে এবার বিএনপিকে বেশ বেগ পেতে হবে। এ আসনের শক্তিশালী প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ইন্তেকালের পর একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় তার দুই সন্তান দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ স¤পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীরও রয়েছেন।

এছাড়া দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম স¤পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামকে।

অপরদিকে চট্টগ্রাম:-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির আরেক শক্তিশালী প্রার্থী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। দিনরাত দলীয় কর্মসূচিসহ নানা সামাজিক আচার অনুষ্টানে অংশ নিচ্ছেন তিনি।

পাশাপাশি এ আসনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম খান। বিএনপির উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী ও বিএনপি নেতা নুরুল আলমও ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করতে চান। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামানকে।

একইভাবে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) আসনে বিএনপির আরেক প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুর পর তার পুত্র সাঈদ আল নোমানও মাঠে রয়েছেন। পাশাপাশি এ আসনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক ও সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কন্যা বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাও তৎপর রয়েছেন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলামকে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ছিলেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ক্লিপটন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমডি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বড়তাকিয়া গ্রুপের কর্ণধার মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানকে।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন সাবেক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ছিলেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আরো রয়েছেন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছালাউদ্দিন ও সরোয়ার আলমগীর।

তাছাড়া এ আসনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর কারণে এ আসনে পরিবারের কাউকে প্রার্থী করতে পারে দলটি। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে নগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নুরুল আমিনকে।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুল রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিন, তবিউল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আবু তাহের। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে আলাউদ্দিন শিকদারকে।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলমীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে শাহজাহান মঞ্জুরকে।

চট্টগ্রাম- ৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ আংশিক) এ আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ডা. আবু নাসেরকে।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ডা. ফজলুল হককে।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ সাঈদ আল নোমান। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালীকে।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার লোকমানকে।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক স¤পাদক এস এম মামুন মিয়া এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ আলী আব্বাস বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানকে।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক স¤পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম এবং ২০০৮ সালের বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে ডা. শাহাদৎ হোসাইনকে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ স¤পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন। আর এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে নগর জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ-সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে ১৬ আসনে বিএনপির সম্ভ্যাব্য প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যোগাযোগও বেড়েছে। দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে। মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডের সাথে লবিংও চালাচ্ছেন তারা। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে নিয়ে নির্বাচনের মাঠে থাকবে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শফিউল আলম বলেন, বন্দর পতেঙ্গা আসন থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্তের কথা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছি। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেই সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করব। দল যদি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করে, তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব। আমাদের দলের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৬ সংদীয় আসনে জামায়াত দলীয় প্রার্থী ঠিক করেছে। জামায়াতে ইসলামীতে প্রার্থী হতে লবিংয়ের দরকার নেই। দলের নির্বাচনি বোর্ড যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেয়ে দলের এলাকাভিত্তিক বা আঞ্চলিক সভায় প্রার্থীদের পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চূড়ান্ত হওয়া প্রার্থীদের নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় কাজ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিগত দিনে যে তিনটি সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আগামী নির্বাচন হবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে তাদের বিশ্বাস। সেজন্য তারা এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ঈশান/মখ/মসু

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page