বুধবার- ১২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলায় নকল বইয়ের ফাঁদ!

চট্টগ্রামে বইমেলায় নকল বইয়ের ফাঁদ!
print news

কল সংস্করণ বা পাইরেসি বইয়ের আধিপত্যের ফাঁদে চরম বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম অমর একুশে বইমেলায় স্টল নেওয়া প্রকৃত প্রকাশকরা। পাইরেসি বই মূল দামের অর্ধেকেরও বেশি কমিশনে বিক্রি হচ্ছে, যা মেলায় অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করেছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মেলায় ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, মেলায় সাধারণত ইংরেজি বই এবং বিদেশি লেখকের বইগুলোর পাইরেসি করে বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক নামি-দামি লেখকের বই অনেক কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আর সাধারণ প্রকাশকদের এখানেই আপত্তি। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের বইয়ের ক্রেতা। তা ছাড়া প্রখ্যাত লেখকদের বইয়ের অনুবাদও পাইরেসি করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় প্রকাশকদের অভিযোগ, মেলায় এসে যখন কেউ কম দামে বড় একটি পাইরেসি বই কেনার সুযোগ পান, তখন অন্য বইগুলো তার কাছে বেশি দামি মনে হয়। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অন্য বই না কিনে ক্রেতারা ফিরে যান।

‘শিশু প্রকাশ’র স্বত্বাধিকারী আরিফ রায়হান বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, মেলায় বেশ কিছু পাইরেসি বই আছে। কিছু আছে বই বিক্রেতা। তারা প্রকাশক নন। তারা কোনো বই প্রকাশ করেন না। কিন্তু তারা প্রকাশকদের স্বকীয়তাকে খর্ব করছেন। পাইরেসি বই ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে পারেন। কারণ পাইরেসি বই বিক্রি করে লেখককে কোনো রয়েলিটি দিতে হয় না। এটা একজন প্রকাশকের পক্ষে কোনোভাবেই এত বেশি কমিশন দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ একজন প্রকাশককে বইয়ের ছাপার খরচের পাশাপাশি লেখকের রয়েলিটি দিতে হয়। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় বইয়ের ছাপা খরচ প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। বেড়েছে কাগজের দামও।

তিনি জানান, অভিভাবকরা মেলা থেকে কম দামে পাইরেসি বই কিনে দিচ্ছেন। কিন্তু ওই বইয়ের মানটা যাচাই করে দেখছেন না। পাইরেসি বা নকল সংস্করণে অনেক ধরনের ভুলভ্রান্তি থাকে। এটা একজন সচেতন পাঠকই ধরতে পারেন। শিশুদের যদি সেই ধরনের বই কিনে দেওয়া হয়, তাদের কাছে ভুল ভ্রান্তি ধরা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তারা ভুলটাই শিখবে।’

‘হরিৎপত্র’ প্রকাশনার নূর উদ্দিনেরও অভিযোগ প্রায় একই রকম। তিনি বলেন, ‘পাইরেসি রোধ করতে না পারলে প্রকৃত প্রকাশকদের লোকসান গুনতে হবে। এ বিষয়ে আয়োজকদের তৎপর হওয়া উচিত।’

জানতে চাইলে মেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু বলেন, বইমেলায় পাইরেসি বই বিক্রির কোনো অভিযোগ এখনো কমিটি পায়নি। এখন থেকে তারা নিজেরাও কোনো স্টলে পাইরেসি বই আছে কিনা খোঁজ নেবেন উল্লেখ করে জানান, তারাও চান প্রকৃত প্রকাশকরাই টিকে থাকুক।

ঈশান/মখ/বেবি

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page