
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কের মাসব্যাপী ফুল উৎসবের গালা নাইট কনসার্টে মঞ্চ মাতালেন নগর বাউল জেমস ও আর্টসেলের ভোকাল লিংকন। দেশীয় ব্যান্ড সংগীতের জীবন্ত এই দুই কিংবদন্তির কণ্ঠের জাদুতে মোহিত হলেন দর্শক শ্রোতারা।
বৃহ¯পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টোডিয়ামে শুরু হয় এ কনসার্ট। কনসার্টের ফাঁকে ফাঁকে আতশবাজির ঝলকানিতে বারবার আলোকিত হয়ে উঠে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। আর তা দেখে আনন্দ উল্লাস করেন দর্শকরা।
কনসার্ট পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নাজির মো. জামাল উদ্দিন জানান, চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসব, ২০২৫ এর সমাপনী গালা নাইট কনসার্ট মাতাতে বৃহ¯পতিবার রাত ৮টা ৪৫ এ মঞ্চে উঠেন নগর বাউল।
তার আগেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় জমে কনসার্টের মাঠে। জেমস মঞ্চে উঠার আগেই ব্যারিকেড ভেঙে গ্যালারিতে ঢুকে পড়ে দর্শক। চলে যায় মঞ্চের খুব কাছাকাছি। মঞ্চে উঠার পর দর্শকেরা হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেমসকে।
জেমস প্রথমে তার বিখ্যাত তুমি স্বপ্নচারিণী গানটি গেয়ে শোনান দর্শকদের। এরপর গুরু ঘর বানাইলা কী দিয়া, সুলতানা বিবিয়ানা, পাগলা হাওয়া দুষ্ট ছেলের দল এর মতো জনপ্রিয় গানগুলো করেন তিনি। হাজারো দর্শক এ সময় একযোগে উচ্চস্বরে নিজেদের কণ্ঠ মিলান তার সঙ্গে।
এর আগে মঞ্চে উঠেন ব্যান্ডদল আর্টসেল। আর্টসেলের ভোকাল লিংকন তার জনপ্রিয় এ বিদায়, অনিকেত প্রান্তর, পথচলা, অন্য সময়, দুঃখ বিলাস গানগুলো করেন। নগর বাউল ও আর্টসেলের আগে এই আয়োজনে গান করেন শিরোনামহীন, তীরন্দাজ, লালন, আভোয়েড রাফা, আর্বোভাইরাস, উন্মাদসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড দল।
জামাল উদ্দিন জানান, দুপুর থেকে শুরু হওয়া গালা নাইট কনসার্টে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। মাঠ ও মাঠের বাইরে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল সেনাবাহিনীও। দুপুরের পর স্থানীয় শিল্পীরাও গান করেন।
দুপুরের দিকে দর্শক সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যা হতে হতেই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম দর্শকে ভরে যায়। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে ৩৫ হাজার দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ১৫ হাজার মাঠে ও ২০ হাজার দর্শক গ্যালারিতে।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে ২০২৩ সাল থেকে প্রতি বছর ফুল উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। এবার চট্টগ্রাম ফুল উৎসব, ২০২৫ হিসেবে উৎসবের নামকরণ করা হয়। ৪ জানুয়ারির থেকে শুরু হওয়া এ ফুল উৎসবে ১৩৬ প্রজাতির ফুলের সমারোহ ঘটনো হয়। প্রায় প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী এই ফুল উৎসবে গিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন। ফুল উৎসব চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।