শুক্রবার- ২০ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে নতুন করে শনাক্ত হলো করোনা আক্রান্ত রোগী

চট্টগ্রামে শনাক্ত হলো নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী

ঢাকার পর চট্টগ্রামেও নতুন করে শনাক্ত হলো চারজন করোনা আক্রান্ত রোগী। তাদের দু‘জন নারী ও দু‘জন পুরুষ। গত তিন দিনে তাদের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

তবে তারা করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেননি চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, আক্রান্ত চার জনের তিনজনই চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। অন্যজন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। চার জনই মোটামুটি ভালো আছেন। তারা আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। দু‘জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে। করোনার সংক্রমণ রোধে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিটের ঘাটতি থাকলেও আশা করছি আগামি শনিবারের মধ্যে পেয়ে যাবো। এছাড়া আমাদের ৮০ হাজারের মতো করোনার টিকা রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, নগরীর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এপিক হেলথ কেয়ারে নমুনা পরীক্ষা শেষে বুধবার (১১ জুন) এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। তিনি নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৪৪ জনের পরীক্ষা শেষে ৩০ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এর আগে সোমবার (৯ জুন) চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ জনের করোনা পরীক্ষা করে দু‘জনের শরীরে জীবাণু পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের একজনের বয়স ৭৫ বছর ও অন্যজনের ৫৫ বছর। কিন্তু তারা করোনার কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পরই ৯ জুন সোমবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বাস্থ্য নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে করোনা স্ক্রিনিং চালু ও মুখে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এসব ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক আগমন ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশন প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরের মেডিক্যাল টিম নন টাচ পদ্ধতিতে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে মাস্ক ব্যবহারে জোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক ও গ্লোভস মজুদ রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরণ ছড়াচ্ছে। ভারতের এনবি ১.৮.১ নামের নতুন ধরনটিও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত ২৩ মে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এনবি ১.৮.১ ধরণটির সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেশি এবং এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে।

ঈশান/মখ/কম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page