
চট্টগ্রাম বন্দরে ২৬ টন অবৈধ সিগারেট পেপার জব্দ করেছে কাস্টমস হাউস। নামসর্বস্ব দুই প্রতিষ্ঠান বৈধ কাগজের ঘোষণার আড়ালে অবৈধ এই চালান আমদানি করে ১৩৭ কোটি টাকার শুল্ক-কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফসির উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে আবারও ধরা পড়ল চমকপ্রদ জালিয়াতি। খড়ের কাগজ আর রিবন কাগজের নামে আসছিল আসলে অবৈধ সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সিগারেট পেপার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, আরএম এন্টারপ্রাইজ ও স্মার্ট মুভ নামের কো¤পানির আনা এসব চালানে সিগারেট তৈরির কাগজ ছিল। এরপরও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অবৈধ আমদানি চালানগুলো ছাড়িয়ে নিতে তৎপর রয়েছে।
চালানগুলো ধরা না পড়লে আরএম এন্টারপ্রাইজের ১৬ টন কাগজ থেকে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে সরকার হারাতো প্রায় ৮৬ কোটি টাকা, অন্যদিকে স্মার্ট মুভের চালান থেকে সরকার হারাতো প্রায় ৫১ কোটি টাকা। এসব সিগারেট পেপার ছাড় নিতে চাইলে পেপারের প্রযোজ্য শুল্ক-করসহ ভুয়া ঘোষণার জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হবে প্রতিষ্ঠানের আগের আমদানি ও বিক্রির হিসাব যাচাই করার জন্য।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি হংকং থেকে ১৬ টন খড়ের কাগজ আমদানির ঘোষণা দেয় ঢাকাভিত্তিক আরএম এন্টারপ্রাইজ। মাসের শেষ দিকে স্মার্ট মুভ নামে আরেক প্রতিষ্ঠান পেপার রিবন ঘোষণা দিয়ে প্রায় ১০ টন চালান আনে। পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই সিগারেট পেপার ধরা পড়ে। এরকম এক কেজি সিগারেট পেপার দিয়ে প্রায় ১০ হাজার সিগারেট তৈরি করা যায়।
কাস্টমস ও এনবিআর রেকর্ডে দেখা গেছে, আরএম এন্টারপ্রাইজ এর আগেও ৪৮৯ টন কাঁচামালের আটটি চালান এনেছে। যার মূল্য ছিল ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। সেগুলোতেও সিগারেট কাগজসহ সিগারেট তৈরির কাঁচামাল থাকতে পারে বলে কর্মকর্তাদের ধারণা।