শুক্রবার- ২১ নভেম্বর, ২০২৫

দুদকের জালে কর্ণফুলী গ্যাসের ৫ কর্মকর্তা

দুদকের জালে কর্ণফুলী গ্যাসের ৫ কর্মকর্তা

জালিয়াতির অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)-এর সাবেক ও বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তা এবং একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত বুধবার দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—কেজিডিসিএল-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরীক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণ) প্রকৌশলী মো. তাজউদ্দিন ঢালী, উপ-ব্যবস্থাপক (বিতরণ) মো. কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (বিক্রয় দক্ষিণ-২) প্রকৌশলী মুহাম্মদ রিফাত নওশাদ ভূঁঞা, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, প্রকৌশলী সুধীর কুমার সাহা রায়, পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়া।

আরও পড়ুন :  চবিতে চালু হচ্ছে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ পটিয়ার মনসার টেক এলাকায় সাইনবোর্ডবিহীন একটি অবৈধ অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় চোরাই গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালায় কেজিডিসিএল-এর টিম।

ওই সময় বিচ্ছিন্নকরণ প্রতিবেদনে চোরাই সংযোগ নেওয়ার জন্য এনামুল হক ও মোক্তার হোসেনের নাম উল্লেখ করা হলেও পরে পরিবর্তন করে ‘একরামুল হক ও নাজমুল হোসেন’ নাম সন্নিবেশ করে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে ছিটকে পড়লো গাড়ি, নিহত ১

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০০৯ সালে জায়গা ভাড়া নিয়ে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেন গাজী মো. বখতেয়ার উদ্দিন ওরফে বকুল মিয়া। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে পর্যন্ত কারখানাটি চালু ছিল।

২০১৬ সালে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও কেজিডিসিএল-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পারস্পরিক যোগসাজশে নাম জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত সংশ্লিষ্টদের দায়মুক্তি দেন, যার ফলে কারখানাটি ক্ষমতার প্রভাবে চালু রাখতে সক্ষম হন মালিকরা।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রাম বন্দরে গেট পাস বাণিজ্য নিয়ে সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ২১৭, ২১৮, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ঈশান/মখ/মসু

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page