
পরীমণির বাসায় শেখ সাদি আসে, তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো একই বিছানায় থাকে। এমন মন্তব্য করেছিলেন গৃহকর্মী পিংকী আক্তার। গত ৫ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে পিংকী আক্তারের এই তথ্য প্রচার করা হয়। নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্মী পিংকী আক্তার এই তথ্য ফাঁস করেন। যা পরীমণি-শেখ সাদির জন্য বড়সড় এক ধাক্কা।
আর এই ধাক্কায় খাটও ভেঙেছে পরীমণি-শেখ সাদির। সর্বশেষ পাওয়া খবর মোতাবেক তারা এখন আর এক বিছানায় থাকে না। এখন গুঞ্জন উঠেছে—তাদের সেই সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে। সম্প্রতি দু‘জনই ফেসবুকে দিয়েছেন রহস্যময় পোস্ট। পরীমনি কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে লিখেছেন, ‘ব্ল্যাকমেলার’।
অন্যদিকে সাদী ফেসুবকে পোস্ট করেছেন তিনটি ডট (…), যেটিকে অনেকে সম্পর্কের ইঙ্গিতপূর্ণ ভাঙন হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন। তবে দুজনের কেউই এখনো পর্যন্ত সম্পর্ক ভাঙার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি।
সম্প্রতি তরুণ গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে ঢালিউডের আলোচিত তারকা পরীমণি প্রেমে মজেছেন বলে গুঞ্জন ওঠে। তাদের দু‘জনকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। দু‘জনের বাসায় দুজনের যাতায়াত। সাদীর মা পরীমণির জন্য পিঠা বানিয়ে পাঠাচ্ছেন, তা আবার ফেসবুকে শেয়ার করে জানিয়েও দেন পরীমণি।
আবার দেখা যায়, শেখ সাদী যখন ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন, পাশের আসনে বসা পরীমণি। এতকিছুর পরও শেখ সাদী নিজের মুখে এ সম্পর্ক নিয়ে সেভাবে কিছুই বলেননি। তবে পরীমণি এসবকে মোটেও পাত্তা দেননি। তিনি তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখে কিছু না বললেও নানা কর্মকাণ্ডে তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টা অনেকটা এমন, আমি প্রেম করে ভালো আছি, তাতে কার কি।
এদিকে গৃহকর্মী পিংকী আক্তারকে মারধরের অভিযোগে ঢালিউড অভিনেত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গৃহকর্মী পিংকী আক্তারের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। পরীমণির বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগে পিংকী উল্লেখ করেন, পরীমণি তার এক বছরের দত্তক কন্যাসন্তানকে খাবার খাওয়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মী পিংকী আক্তারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
পরীমনির অতীত সম্পর্কের ইতিহাসও বেশ আলোচিত। তিনি একাধিকবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, যার মধ্যে একজন পরিচালক ও একজন নায়ক রয়েছেন। সর্বশেষ চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের সঙ্গে তার বিবাহিত সম্পর্কের ইতি ঘটে। তাদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে।
রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর পরীমনিকে গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায়। একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের প্রশংসা, এমনকি পরীমনির গ্রেফতারি পরোয়ানার সময় সাদীর জামিনদার হওয়া—সব মিলিয়ে তাদের সম্পর্ক ছিল গভীর ও দৃঢ়।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, তাদের সেই প্রেম এখন আর নেই। গুঞ্জন রয়েছে, তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের পেছনে রয়েছে পরীমনির বাসায় অল্প কিছুদিন কাজ করা গৃহকর্মী পিংকী আক্তারের বড় ধাক্কা।