
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এক মামলায় বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেফতারের পর তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে মানিকগঞ্জে কয়েকজন বাউল কথিত তৌহিদি জনতার হামলার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
বাউল সম্প্রদায় যখন আলোচনার তুঙ্গে তখন পুরুষ বাউলদের সম্পর্কে গুরুতর এক অভিযোগ তুললেন এক নারী বাউল শিল্পী। তিনি দাবি করেছেন, পুরুষ বাউলরা বিছানায় ডাকেন। সেই ডাকে সাড়া দিলে নারী বাউলরা গানের প্রোগ্রাম পান। না হলে তাদের কেউ ডাকে না। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কারও কথা উল্লেখ করেননি।
পুরুষ বাউল শিল্পীদের নিয়ে বিস্ফোরক এই অভিযোগটি করেছেন বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার। তিনি এক ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেন। তার সেই ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হাসিনা সরকার বলেন, বাউলদেরকে বলতাম- আমার তো প্রোগ্রাম নাই, আমার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। তখন তারা বলেন, যদি খেয়াল রাখতে হয় তাহলে কথা শুনতে হবে। যখন ডাকি তখন আসতে হবে। আমি বলি- ‘আসলে কী হবে?’ তখন তারা বলেন- ‘এইটা কি ভেঙে (খুলে) বলতে হবে’। আমি তখন বলেছি- ‘মাফও চাই, দোয়াও চাই। ওই ধরনের প্রোগ্রাম আমার দরকার নাই। আমার ইজ্জত বিক্রি করে আমার প্রোগ্রোম নিতে হবে না। এটাকে বাউল গান বলে না।’
পুরুষ বাউল শিল্পীরা কুপ্রস্তাব দিতেন দাবি করে তিনি বলেন, তারা বেডে (বিছানা) নেয়, আর গান গাওয়ার সুযোগ দেয়। আমি বাউল শিল্পী হয়ে বলছি- এখন বাউল জগতের এরকম পরিস্থিতি হয়ে গেছে। আমাকে যদি কেউ না ডাকে, বায়না না দেয়, আমার কেউ খোঁজখবর না নেয়, তাও আমার কিছু যায় আসে না। আমাকেও বাউলরা এরকম (কুপ্রস্তাব) প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা বলেছেন- ‘আমাদের কথা শুনবি, তোকে বায়না দেব’।










































