
দেশে নানা পরিবর্তন এসেছে ৫ আগস্টের পরে। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারে নামে থাকা ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার শেখ হাসিনার নামে থাকা দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইন্সটিউটিশন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামও বদল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শুধু শেখ হাসিনা নয়, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে যাবে। শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে সারাদেশে আ’লীগের নেতাদের নামে থাকা সব স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে।
তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রস্তুত করবেন। এবং বদলের জন্য কারণসহ প্রস্তাব পাঠাবেন। নাম বদলের নীতিমালার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম গুলোবদল করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত অক্টোবর মাসে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত হয়, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ও তার পরিবারের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করা হবে। একই সঙ্গে তার দলের নেতারা যাদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোরও নাম বদল করা হবে।
আর সেই আলোকে গত ১২ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদে শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার হয়। তাই নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নাম হবে এলাকা এবং বাংলাদেশের নাম অনুসারে। এবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নামও পরিবর্তনের কাজ শুরু করেছে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, সারাদেশে গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নাম থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়গুলো। উচ্চ শিক্ষা ও মাধ্যমিক বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। স্ব স্ব দপ্তরগুলো ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে। কোথাও কোথাও ডিসিরাও কাজ শুরু করেছে। সব শেষ করে মার্চ মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে ডিসিদের।
তবে দপ্তরগুলো সূত্রমতে, তালিকা করার ক্ষেত্রে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাভাবে রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তার নামে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামও পরিবর্তন হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ইন্সটিউটিশন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেগুলো নামও পরিবর্তন করা হবে। এরপর থাকবে আ’লীগের শীর্ষ পর্যায়ে নেতা, মন্ত্রী বা তার পরিবারের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামগুলো। পর্যায়ক্রমে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও পরিবর্তন করা হবে।
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। আর ইতিমধ্যে তালিকা করার জন্য ডিসি-ইউএনও নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে।’
তালিকাগুলো যেভাবে করা হবে
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যেসব আওয়ামী লীগের এমপি, মন্ত্রী ও স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতার নামে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার তালিকা প্রস্তুত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক-এডিসি (শিক্ষা)। তার সাথে কাজ করবেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে শিক্ষা অফিসার, স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরাও থাকবেন। তারা ওই জেলায় ৫ আগস্টের আগে যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে কমিটির কাছে উপস্থাপন করবে। আর কমিটির সব বিষয়ে যাচাই বাচাই করে প্রতিষ্ঠানের পাশে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অভিযোগ-মামলার তথ্য, কি কারণে নাম বদল করতে হবে তার ব্যাখ্যাসহ পরিবর্তীত নাম কি হতে পারে এমন সব তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
নাম পরিবর্তনের সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে একজন জেলা প্রশাসক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি ইতোমধ্যে আমরা পেয়ে কাজ শুরু করেছি। আশা করি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠাতে পারবো। শুধু মামলা থাকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বদল হয়ে যাবে নাকি অন্য কোন ক্যাটাগরি থাকবেন এ ব্যাপারে স্পষ্ট করনি। এমন কোন নীতিমালা বা নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি। যার ফলে এ কাজ করতে আমাদের নানা বাধা ও বির্তকের মুখে পড়তে হবে। শুধু তাই নয়, এই তালিকা করতে গিলে স্থানীয় পর্যায় থেকে বাধা আসতে পারে।
বিষয়টি জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান বলেন, ‘কোন ঝামেলা হবে না। ডিসি শুধু স্থানীয় পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। সেখানে তিনি ওই ব্যক্তির নামে কীভাবে নামকরণ হয়েছে, এখন কেন বাদ দেওয়ার সুপারিশ করছেন এর পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে হবে। সেখানে তিনি হত্যা মামলা থাকলে সেটি নম্বর, বিবরণ, জুলাই-আগস্ট মাসে তার ভূমিকা ছিল সেগুলো প্রতিবেদন আকারে পাঠাবেন। আর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের একক কোন সিদ্ধান্ত হবে না। এখানে আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে কমিটি কাজ করবে। তাছাড়া নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই আলোকেই এগুলোর নাম পরিবর্তন হবে।’
এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। এমন একটি নিদ্ধান্তের বিষয়ে জানি। কিন্তু চিঠি পাঠানোর বিষয়টি এই মুহুর্তে বলতে পারবো না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে
দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার নামে দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি মেয়েদের হল রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বুটেক্স এ শেখ হাসিনা হল, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনা হল, কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, শেখ হাসিনা হল, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনা হল, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল।
এছাড়াও শেখ হাসিনার নামে দেশের সাতটি কলেজ রয়েছে। সেগুলো হলো, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুর, সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ, ডাসার, মাদারীপুর, শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, গোপালগঞ্জ ও শেখ হাসিনা পদ্ম পুকুর ডিগ্রি কলেজ, ঝিনাইদহ, শেখ হাসিনা একাডেমি, পিরোজপুর, শেখ হাসিনা উচ্চবিদ্যালয় মাধপুর, আতাইকুলা, পাবনা।
তার নামে দুটি ইন্সটিটিউট রয়েছে। একটি শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, ইসলামপুর, জামালপুর অন্যটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, চানখারপুল, ঢাকা। তার নামে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব কেন্দ্র ও শেখ হাসিনা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, মেলান্দহ, জামালপুর এই দুটি দপ্তর রয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পূর্বাচল ঢাকা, মানিকগঞ্জ শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। এছাড়াও জামালপুরে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী।
তার নামে দেশের দুটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। সেগুলো হল মাদারীপুর-শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা মহাসড়ক ও চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা রোড। একটি সেনানিবাস, কক্সবাজারের নৌ বাহিনীর একটি জাহাজের নাম তার নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া গেছে সেগুলো মধ্যে অন্যতম গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ হাসিনা কৃষি ইনস্টিটিউট। নৌবাহিনী জাহাজ বিএনএস শেখ হাসিনা।
নীতিমালায় যেসব বিষয় আছে
২০১৭ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের জন্য আগের নীতিমালাকে আরও যুগোপযোগী করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নীতিমালায় নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, কলেজ-মাদরাসা এবং ডিগ্রি পর্যায়ের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারি তহবিলে জমা দেওয়া ফি নির্ধারণ করেন। আর সেই নীতিমালায় প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে গভার্নিং বডির অনুমোদন এবং দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এছাড়াও নাম পরিবর্তনে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য (স্কুল-কলেজ ও ডিগ্রি ক্ষেত্রে) জেলা প্রশাসককে (ডিসি) আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। মাদরাসার ক্ষেত্রে মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যকে আহ্বায়ক করে পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে উচ্চ কমিটির কাছে সুপারিশ করবে।
অপরদিকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (স্থায়ী কিমিটি) বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শাখার অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি পৃথক কমিটি কাজ করবে। এ কমিটিই চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে।
প্রাথমিক স্কুলের নাম পরিবর্তনের জন্য সর্বশেষ ২০২৩ সালে নতুন একটি নীতিমালা করা হয। সেখানে বলা আছে, বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এমন বিবেচিত হলে তা বদলানো যাবে। বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ হয়ে থাকলে বা আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে বদলানো যাবে। ভূমিকম্প, নদীভাঙ্গনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে নাম বদলানো যাবে।
নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে এলাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা যাবে। তবে রাষ্ট্রবিরোধী, ফৌজদারি, দেওয়ানি ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্তদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে না। এছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে এলাকার নাম অনুসারেও নামকরণ করা যাবে। স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন করা যাবে।
প্রাথমিকের নাম পরিবর্তনের জন্য উপজেলায় ইউএনও নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠাবে। কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার। একই ভাবে জেলা পর্যায়ে ডিসির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি সদস্য সচিব থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার। সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে কমিটিতে প্রধান থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার। আর ১৪ সদস্যের কমিটিতে সদস্য সচিব থাকবেন জেলা শিক্ষা অফিসার।