
সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আত্নীয় পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার করে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া সুখবিলাস সাগর আলী জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্বে থেকে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আবছার তালুকদারের বিরুদ্ধে।
তার অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত ও মসজিদের আয়-ব্যয় হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিতে গত ১ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় সাগর আলী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুসল্লী পরিষদ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মওলানা নেজাম উদ্দিন।
মুসল্লী পরিষদের সভাপতি মৌলানা আব্দুচ সত্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মুসল্লী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম। মুসল্লীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নুরুল আলম, জামাল উদ্দিন, বাদশা মিয়া, আবদুল মোবিন, জসিম উদ্দিন, মো. আরমান, দিদারুল আলম, কাউছার নুরুল হক, নাজিম উদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে মওলানা নেজাম উদ্দিন আরো জানায়, সুখবিলাস সাগর আলী জামে মসজিদের অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, সভাপতি নুরুল আবছার তালুকদার এর অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত ও মসজিদের আয়-ব্যয় হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি দাবি পেশ করেন।
সুখবিলাস বাঙ্গালহালিয়া পাড়া সমাজের সর্বস্তরের জনসাধারণ ও মুসল্লীরা সাংবাদিকদের জানান, এই মসজিদের আওতায় ৩৪২ কানি কৃষি জমি রয়েছে যার বার্ষিক আয় প্রতি কানি ২ হাজার টাকা করে। গাণিতিক নিয়মে হিসেব করে দেখা যায়, যার বার্ষিক আয় দাঁড়ায় বছরে ৬ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা।
গত ১৫ বছরে তাহা অংকে দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ২ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা যার কোন হিসাব নেই। প্রতিবছর আয়-ব্যয়ের কোন হিসেব মুসল্লীদের দেখানো হয় না। তাছাড়াও জেলা পরিষদের বরাদ্দ পাওয়া ২ লক্ষের টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে অবশিষ্ট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্নসাৎ করেছে সভাপতি নুরুল আবছার তালুকদার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি লিখিতভাবে আরও বলেন, মসজিদে জমিদাতা দাবী করলেও এই পর্যন্ত তার কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেননি। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় দুই পক্ষের ২ জন করে ৪ জনকে নিয়ে সার্চ কমিটি করে দিলেও ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও দলিলাদি দেখাতে পারেনি।
বর্তমানে আয়-ব্যয়ের হিসেব চাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকির কারনেই মুসল্লীরা বর্তমানে অসহায়ের মত জীবনের ঝুকি নিয়ে নিয়মিতভাবে নামাজ ও মসজিদ সংরক্ষণ করে যাচ্ছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিষয়টি জরুরীভাবে সমাধানের দাবিতে এই সাংবাদিক সম্মেলন করতে আমরা বাধ্য হয়েছি। তাই সকল প্রকার আইনি ঝামেলা এড়াতে প্রশাসনের দৃষ্টিসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে নুরুল আবছার তালুকদারের মুঠোফোন নাম্বারে (01711226314) একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।