বুধবার- ১২ মার্চ, ২০২৫

এস আলমের বাঁশখালী বিদ্যুৎ প্রকল্প

শুধু জমি কেনায় নয়ছয়ে ধনকুবের চট্টগ্রামের আনিস!

‘চট্টগ্রাম শহরে কোটি টাকায় জমি কিনে করেছেন একাধিক বহুতল ভবন, স্ত্রীর জন্য কিনেছেন বিপুল স্বর্ণালংকার, আত্নীয়-স্বজনের নামে একাধিক ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত রেখেছেন কোটি-কোটি টাকা, নিজের একাধিক ব্যাংক হিসাবেও করেছেন কোটি-কোটি টাকার লেনদেন’

শুধু জমি কেনায় নয়ছয়ে ধনকুবের চট্টগ্রামের আনিস!
print news

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে দেশের লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন এস আলম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী সাইফুল আলম মাসুদ, তার তিন ছেলে, স্ত্রী ও ভাইয়েরা। আর এই সুযোগের হাতছাড়া করেনি এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও।

এর মধ্যে অন্যতম হলেন প্রতিষ্ঠানটির বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ। তাঁর দায়িত্ব ছিল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য সরকারি নিয়ম মেনে জমি ক্রয় করা। আর সেই জমি ক্রয়ে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে নয়ছয় করে জমির মালিক প্রতি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এতে এক সময়ের সহায়-সম্বলহীন আনিস আহমদ এখন চট্টগ্রাম শহরের ধনকুবের।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বলীরহাট এলাকায় কোটি-কোটি টাকায় জমি কিনে গড়েছেন একাধিক বহুতল ভবন, দোকান ও মার্কেট। কিনেছেন বহু প্লট ও ফ্ল্যাট। স্ত্রীর জন্য কিনেছেন শ শ ভরি স্বর্ণালংকার। স্বজনদের নামে একাধিক ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছেন কোটি-কোটি টাকা। নিজের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে নিজেও করেছেন কোটি-কোটি টাকা লেনদেন।

অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত ধন-সম্পদের উপর যখন আনিস আহমদ সুখের সাগরে ভাসছেন, ঠিক তখনি মাথা গোজার ঠাঁই একমাত্র সম্বল জমি হারিয়ে দু:খের সাগরে চোখের জল ফেলছেন প্রকল্প এলাকা বাঁশখালীর হাজারো মানুষ। যাদের অনেককে জালিয়াতির ফাঁদে জমি বিক্রয় করতে না চাওয়ায় এস আলম গ্রুপের নিরাপত্তা রক্ষিদের গুলিতে দিতে হয়েছে প্রাণ। আর টাকার বিনিময়ে সেই প্রাণহানির ঘটনা চাপিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ঘাড়ে।

আর এসব ঘটনার মূল জন্মদাতা ছিলেন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশদ্রোহী এস আলম ওরফে সাইফুল আলম মাসুদসহ তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা দেশ ছেড়ে পালালেও বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প আঁকড়ে ধরে আছেন কার্যকারক আনিস আহমদ। করছেন নিয়মিত অফিস।

নতুন জমি ক্রয়ে স্থবিরতা নেমে আসলেও তিনি নয়ছয় করে কেনা পূরনো জমির মালিকদের কাছ থেকে চুক্তির টাকা তুলতেই ব্যস্ত থাকেন সারাদিন। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও ঘুরাফেরা করেন বাঁশখালীতে। জেল খাটানোর হুমকি দেন জমির মালিকদের। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগীদের একজন চট্টগ্রামের বাঁশখালী গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা ৪নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত আতর আলীর ছেলে আশরাফ আলী। তিনি বলেন, আমার বড় ভাই ইউসুফ এস আলমের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ এর সাথে আঁতাত করে পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত ৩ ভাইয়ের বসতভিটা বিক্রির ৬৫ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। গোপন চুক্তি অনুযায়ী ওই টাকার অর্ধেক হাতিয়ে নিয়েছেন আনিস আহমদ। সম্প্রতি এ নিয়ে আনিস আহমদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অস্থায়ী ক্যা¤প বাঁশখালীতে দায়িত্বরত মেজর বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযোগকারী আশরাফ আলী আরও বলেন, আমাদের পিতা আতর আলীর মৃত্যুর পর আমি আশরাফ আলী, ১নং স্বাক্ষী আমার ভাই আব্দুল হক ও ১নং বিবাদী মো. ইউসুফসহ আমরা ৩ ভাই বিএস ৫১ নং খতিয়ানভুক্ত পুরনো বসতভিটাসহ পৈত্রিক ও মাত্রিক পরিত্যাজ্য সমস্ত সস্পদের ওয়ারিশ হয়েছি এবং সেইমতে ভোগদখলে আছি।

আমাদের পুরাতন বসতভিটায় আমার ভাই আব্দুল হক ও মো. ইউসুফ পৈত্রিক বসতঘরে বসবাস করে। কিন্তু এস আলমের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যকারক হিসেবে দায়িত্বরত আনিস আহমদ এর সাথে গোপন আঁতাত করে উক্ত বসতভিটার পৈত্রিক প্রাপ্ত ৩ ভাইয়ের অংশ আমার ভাই ইউসুফের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রী নিয়ে এস আলম আমাদেরকে বাস্তচ্যুত করেছে। উক্ত জায়গা বাবত এস আলমের কাছ থেকে পাওয়া ৬৫ লাখ টাকা হিস্যা এখনো বুঝিয়ে পাইনি আমরা।

এ বিষয়ে স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনির কাছে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষকে নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ওসমান গনি বৈঠক করেন। বৈঠকে অভিযুক্ত ইউসুফ আমরা দুই ভাইকে কোন টাকা দিবে না বলে জবাব দেয়। পরে চেয়ারম্যান আমরা দুই ভাইয়ের পক্ষে প্রতিবেদন দেন।

যা নিয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি আমি আশরাফ আলী ও ভাই আব্দুল হক। এতেও কোন প্রতিকার না পাওয়াতে সর্বশেষ ন্যায় বিচারের আশায় অভিযুক্ত মো. ইউসুফ এবং প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদকে বিবাদী করে বাঁশখালীতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী মেজর বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করে কথা বলতে চাইলে অভিযুক্ত ইউসুফ সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কোনরকম কথা না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যান।

এদিকে শুধু আশরাফ আলী নয়, কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি কিনতে গিয়ে বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা, আলোকদিয়া, খাসেরঘোনা, চরবড়ঘোনা, সমিতিঘোনা আবেদ্ত্তাঘোনা, গোলাবিলের হাজার হাজার মানুষের জমি ও বসতভিটার কাগজপত্র নানাভাবে জালিয়াতি করে জমির মালিক মাথাপিছু লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন আনিস আহমদ। গত ১৫ বছরে তিনি এভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

যেভাবে জালিয়াতি করেছেন আনিস :
ভুক্তভোগীরা জানান, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গোপন চুক্তি করে মো. ইউসুফের নামে পৈত্রিক বসতভিটা ক্রয়ের ৬৫ লাখ টাকা থেকে যেভাবে ভাই আশরাফ আলী ও আবদুল হককে বঞ্চিত করেছে, ঠিক সেভাবে প্রকল্প এলাকার শত শত জমির মালিকদের সাথে গোপন আঁতাত করে বিভিন্ন কায়দায় জালিয়াতির মাধ্যমে জমি ক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছেন প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ।

এ নিয়ে এলাকার প্রতিটি পরিবারে মালিকানা নিয়ে ওয়ারিশানদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, হানাহানি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। চলছে মামলা-মোকদ্দমাও। এতে এসব এলাকার সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানান বাঁশখালী থানার পুলিশ।

সূত্রমতে, বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি ক্রয়ের দায়িত্বে থাকা সুচতুর আনিস আহমদ জাল খতিয়ান ও কবলা তৈরী করে একজনের জমি আরেকজনের নামে দেখিয়ে ওই ব্যক্তির স্বাক্ষরে জমি ক্রয় করেন। আর এস আলমের প্রভাব খাটিয়ে তৎকালীন ওসির সহযোগীতায় এসব জমি থেকে বসতবাড়িসহ জোরপূর্বক নানা স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলে নেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী মানুষ বিক্ষোভ করে দফায় দফায় জমি দখলে বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় তিন দফায় এস আলম গ্রুপের নিরাপত্তা রক্ষিদের গুলিতে ১৭ জন গ্রামবাসীর প্রাণহানি ঘটে।

কিন্তু এ ঘটনা পুলিশের সাথে সংঘর্ষ দেখিয়ে ও পুলিশের গুলিতে মৃত্যু দেখিয়ে উল্টো হাজার হাজার গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলায় আসামি বানিয়ে গ্রামছাড়া করে এস আলম গ্রুপ। এ সময় গন্ডামারা ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী গ্রামবাসীর পক্ষে থাকলেও এস আলম গ্রুপের দেয়া শতকোটি টাকার বিনিময়ে পুলিশের মতো তিনিও গ্রামবাসীর পক্ষ ত্যাগ করেন।

জমি কেনায় নয়ছয়ে ধনকুবের আনিস
এস আলমের ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ১৭২৮.৯৭ একর খাস জমি ছাড়াও ৩৩০৩.১৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ক্রয়ের জন্য সরকারি অনুমোদন নিলেও এ পর্যন্ত ৫০০০ একরেরও বেশি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ক্রয় করা হয়েছে। যেখানে মাত্র ১৫০ পরিবারের বসতভিটা দেখানো হয়েছে। বাকি জমি নাল দেখানো হয়েছে।

যা বড় ধরণের জালিয়াতি। অথচ মালিকানা সূত্রে এসব জমির উপর তিন হাজারেরও বেশি পরিবারের বসতভিটা রয়েছে। এছাড়া মৌজা রেটে জমি ক্রয়ের জন্য সরকারি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি খরচ দেখিয়ে জমি ক্রয় করে এস আলম গ্রুপ।

অন্যদিকে মৌজা রেটের অর্থও হাতে পাইনি জমির মালিকরা। জমির প্রকৃত মালিক ৮ হাজার জন হলেও অর্থ পেয়েছেন এক হাজার জনে। যাদের স্বাক্ষরে কেনা হয়েছে জমি। আর জমির এসব মালিকদের সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে প্রদত্ত টাকার অর্ধেক হাতিয়েছেন প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ। এ কাজ নির্বিঘ্নে করতে ডজন খানেক দালাল নিয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আনিস আহমদ।

এভাবে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে নয়ছয় করে এক সময়ের সহায়-সম্বলহীন আনিস আহমদ এখন চট্টগ্রাম শহরের ধনকুবের হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর বলিরহাট পুলিশ বিটের নিকটে কোটি টাকায় জমি কিনে গড়েছেন একাধিক বহুতল ভবন, দোকান ও মার্কেট। কিনেছেন বহু প্লট ও ফ্ল্যাট। স্ত্রীর জন্য কিনেছেন শ শ ভরি স্বর্ণালংকার। স্বজনদের নামে একাধিক ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছেন কোটি-কোটি টাকা। নিজের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে নিজেও করেছেন কোটি-কোটি টাকা লেনদেন।

তাছাড়া এই আনিস আহমদ ছিলেন এস আলম ওরফে সাইফুল আলম মাসুদের ভাগিনা মোস্তাকিন বিল্লাহ আদিলের ঘনিষ্ট সহচর। যার প্ররোচনায় নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে জমি ক্রয় করেছেন প্রকল্পের কার্যকারক আনিস আহমদ। ধনকুবের হয়ে উঠেছেন গত ১৫ বছরে। এতে নগরীর বলীরহাট এলাকার স্থানীয় লোকজনও বিস্মীত হন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরজমিনে পরিদর্শনের সময় নাছির উদ্দিন নামে তাঁর এক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় নিংস্ব ছিলেন আনিস। কিন্তু এস আলমে চাকরি নিয়ে রাতারাতি ধনকুবের হয়ে উঠেছেন। প্রথমে তার উত্থানে বিস্মিত হলেও এস আলম গ্রুপের অর্থ আত্নসাতের ঘটনা শুনে মানুষ বুঝে গেছে, অর্থ আত্নসাতের অংশীদার আনিস আহমদও।

আনিস আহমদের বক্তব্য :
জমি কেনায় নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় আনিস আহমদের সাথে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। সেনা ক্যাম্পে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী আশরাফ আলীকে আমি চিনি না। পরবর্তীতে ইউসুফের কথা বললে, আশরাফ আলীসহ তিন ভাইকেই চিনেন বলে জানান। আর এ বিষয়ে বলেন, সেটা তাদের তিন ভাইয়ের ব্যাপার আমার সাথে কি?

আরো অভিযোগকারীর তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি কেনায় খুশি হয়ে যে যা দিয়েছে আমি তা নিয়েছি। কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নিইনি। খুশি হয়ে কত দিয়েছে জানতে চাইলে আনিস আহমদ বলেন, ধরেন ১০/২০ হাজার টাকা। এর বেশি নয়।

তাহলে দোকান-মার্কেটসহ বহুতল ভবন নির্মাণ, কোটি টাকার জমি, প্লট-ফ্ল্যাট, স্ত্রীর জন্য শ শ ভরি স্বর্ণালঙ্কার কিভাবে গড়েছেন প্রশ্ন করা হলে আনিস আহমদ বলেন, ভাই এভাবে বললে কি হয়? আমার দিকে তো একটু দেখতে হবে। বাঁশখালীর অনেক সাংবাদিকের সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। এক সাংবাদিকের আমি অনেক উপকার করেছি।

নাম পরিচয় জানিয়ে ওই সাংবাদিককে আমি চিনি কিনা জানতে চান আনিস। আমি তাকে বলি আপনাকে একটা ফোন করতে। এ কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে ওই সাংবাদিকের মাধ্যমে একটু দেখা করার কথা বলেন আনিস আহমদ। এক পর্যায়ে নগরীর এক হোটেল দেখা হলে তিনি নিউজটি বন্ধ করতে কি করতে হবে জানতে চান। এ সময় তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দেন।

বি : দ্র : এস আলম গ্রুপে চাকরির সুবাধে ধনকুবের হয়ে উঠা চট্টগ্রাম মহানগরীর বলীরহাট এলাকার আনিস আহমদের নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ও অর্থপাচারের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। প্রিয় পাঠকরা চোখ রাখুন দৈনিক ঈশানে) 

ঈশান/মখ/বেবি

এ সংক্রান্ত নিউজ আরও পড়ুন :

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page